সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর চার আগের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে চন্দ্রাভিযানে আরও একবার সাফল্যের মুখ দেখল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো (ISRO)। শুক্রবার পূর্ব নির্দিষ্ট মাহেন্দ্রক্ষণ, দুপুর ঠিক ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩(Chandrayaan-3)। মাত্র ১৭ মিনিটে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছনোর কথা। তবে চাঁদে (The Moon) পৌঁছতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে ইসরোর তৈরি চন্দ্রযানের। বিজ্ঞানীদের অঙ্ক বলছে, ২৩ বা ২৪ আগস্ট উপগ্রহের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩। আর চাঁদ অভিযানে ভারতের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার জগতে বিশাল কীর্তি। এর আগে এমন কৃতিত্বের অধিকারী রাশিয়া, আমেরিকা, চিন। ভারত বসল চতুর্থ স্থানে।
তবে আজ নয়, উপগ্রহের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকে আলো ফেলার জন্য ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের তৎপরতা অনেক আগে থেকেই। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে চন্দ্রযান তৈরি করে তা চাঁদে পাঠানোর চেষ্টা চলেছে। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চাঁদে অবতরণের সময় ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ বিচ্ছিন্ন হয়ে আচমকা ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ইসরোর দাবি, আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই সফলভাবেই সে চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে ‘সফট ল্যান্ডিং’ (Soft landing) করতে পারবে।
[আরও পড়ুন: ভোটের পরও উত্তপ্ত বীরভূম, তারাপীঠে উদ্ধার বোমা, সিউড়িতে সংঘর্ষে আহত বহু]
চন্দ্রযান-২’র মতো একই পদ্ধতিতে এবারও যানটিকে তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত চন্দ্রযান-৩। ল্যন্ডার, রোভার, প্রোপালশন মডেল – ত্রিশক্তিতে চাঁদে পাড়ি দিয়েছে দেশের তৈরি চন্দ্রযানটি। তবে এই মুহূর্তে যে অরবিটারটি চাঁদে রয়েছে, তার মাধ্যমেই তথ্য পাঠাবে নতুন যান। এক্ষেত্রে চন্দ্রযান-২’র অরবিটার ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩।