সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক অধ্যাবসায়, মেধা, পরিশ্রম আর জেদের যোগফল মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে স্বদেশের নাম তোলা। ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী তথা ১৪০ কোটি দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ করে বুধবার সন্ধেবেলা চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুতে নেমেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার (Lander) ‘বিক্রম’। এবার আঁধারঘেরা চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটে চলে বেড়াবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। অবতরণের পরপরই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সবক’টি যন্ত্রাংশ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর এতদিন অদেখা এবড়ো খেবড়ো চাঁদের পিঠের ভিডিও তুলল বিক্রমের ক্যামেরা। আর সেই ভিডিও প্রকাশ করে ইসরো জানাল, পরিকল্পনা মতোই কাজ করছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)।
বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ ইসরোর তরফে ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের ইমেজার ক্যামেরা ভিডিওটি তুলেছে। বুধবার ল্যান্ডার অবতরণের পর আজ থেকেই চালু হয়েছে পে-লোড ILSA, RAMBHA এবং ChaSTE। এরা ক্যামেরার কাজ করছে। রোভারটিও যথাযথ কাজ শুরু করেছে। চন্দ্রযান ৩-এর সমস্ত কার্যপদ্ধতি একেবারে ছক মেনেই হচ্ছে। স্বাভাবিক কাজ করছে সমস্ত যন্ত্রাংশ।
[আরও পড়ুন: হলিউড ছবির থেকেও সস্তায় চন্দ্রযান অভিযানে নজির ভারতের, বাহবা এলন মাস্কের]
X প্ল্যাটফর্মে ইসরোর দেওয়া আপডেট অনুযায়ী, প্রোপালশন মডিউলটি রবিবার থেকে চালু হবে এবং তারপর সে কাজ করবে। প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের কুমেরুর সান্দ্র অংশ। ইমেজার ক্যামেরায় কখনও তার রং কাদাজলের মতো, কখনও আবার নীলচে সবুজ। মাঝেমধ্যে বুদবুদের আভাস। আবার কখনও চাঁদের শরীরের গহ্বরও দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের আন্দাজ, উপগ্রহের অনাবিষ্কৃত দিকটিতে তরল রয়েছে, যার মধ্যে প্রচুর খনিজ পদার্থ মিশ্রিত। আর তার হদিশ পাওয়ার জন্যই এত পরিশ্রম করে চন্দ্রযান ৩-কে পাঠানো। শেষ পর্যন্ত সে তার কাজ ঠিকমতো করবে বলেই আশা সকলের।