shono
Advertisement

Breaking News

বিক্রমকে নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই ভবিষ্যতে চোখ, চন্দ্রযান ৩-এর প্রস্তুতি ইসরোর

চলছে গগনযান ও সৌরমিশন সফল করার প্রস্তুতিও। The post বিক্রমকে নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই ভবিষ্যতে চোখ, চন্দ্রযান ৩-এর প্রস্তুতি ইসরোর appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:29 PM Sep 10, 2019Updated: 12:32 PM Sep 10, 2019

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সাফল্য ৯৫ শতাংশ, না পুরোটাই ব্যর্থ, সে বিতর্ক থাকবেই। তা বলে এ নিয়ে বেশিদিন বসে থাকলে হতাশা আসতে বাধ্য। বিক্রমের খোঁজ চালানোর পাশাপাশি এবার তাই চন্দ্রযানের তৃতীয় অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করল ইসরো। চেয়ারম্যান কে শিবন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন চন্দ্রযান-৩ মিশনের জন্য আলাদা টিম কাজ শুরু দিয়েছে। তবে এর পরের অভিযানটি হবে জাপানের সহযোগিতায়। নিয়মমতো সব এগোলে আরও এক ল্যান্ডারকে নিয়ে ২০২৪ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই ফিরে যাবে ইসরো। শুধু চন্দ্রযান-৩ নয়, প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সৌর মিশন ‘আদিত্য এল-১’, ‘শুক্রযান-১’, ‘গগনযান’, ‘মঙ্গলযান-২’ ও চাঁদে মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র বানানো নিয়েও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জলঙ্গির দূষণ রোধে তৎপর প্রশাসন, নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হল পরীক্ষায়]

জাপানের এয়ারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা জাক্সার সঙ্গে যৌথভাবে চন্দ্রযান-৩ অভিযান করবে ভারত। সে সময় চাঁদের মাটি খুঁড়ে পৃথিবীতে এনে গবেষণা করার কথা রয়েছে। জাক্সার উপগ্রহ বিশ্লেষক যান হায়াবুসা-২ গত জুলাই মাসেই দ্বিতীয়বারের জন্য ঝুঁকিবহুল একটি উপগ্রহে গিয়ে নেমেছে। কোনও বিপদসঙ্কুল জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে নামতে তারা কতটা সফল তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ২০২৪-এর যৌথ মিশন অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে রকেট আর রোভার তৈরি ও তাকে প্রেরণের দায়িত্ব থাকবে জাপানের উপর। আর ল্যান্ডার পাঠাবে ভারত। রোভারটি চাঁদে ড্রিল করে মাটি-পাথর তুলে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। বিশ্বে এই প্রথম দুই দেশ যৌথভাবে চাঁদে মানববিহীন যান পাঠিয়ে সেখানকার মাটি নিয়ে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেছে। তবে ওই বছরই ইংল্যান্ডেরও এমন পরিকল্পনা রয়েছে।

চন্দ্রযান ৩-এর আগে যদিও আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান রয়েছে ইসরোর। প্রথমটি সৌর মিশন। যা হওয়ার কথা আগামী বছর আগস্ট মাস নাগাদ। এই পর্বে সূর্যের করোনা স্তর টেস্ট করবে ‘আদিত্য এল ১’ যান। সূর্যের দেহের যা উষ্ণতা তার থেকেও অনেক বেশি উষ্ণতা করোনার। এটা সৌরজগতের একটা স্তর। সূর্য থেকে অনেক দূরে যার অবস্থান। সৌর মিশনের উদ্দেশ্য, সূর্যের দেহের চেয়েও তার বাইরের কোনও স্তর কীভাবে এত গরম হচ্ছে তা পরীক্ষা করা। নাসাও সূর্যের কাছে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নতুন অভিযানের চেষ্টায় আছে।

[আরও পড়ুন: ভেঙে যায়নি ল্যান্ডার বিক্রম, ফের আশার কথা শোনাল ইসরো]

অন্যদিকে ‘শুক্রযান-১’ অভিযান হবে ২০২৩-এ। শুক্রের কক্ষপথে একটি অরবিটার পাঠানোর কথা আছে ইসরোর। যাকে গ্রহটির মাটি থেকে ৪০০ কিমি উপরে স্থাপন করা হবে। তার আগেই হয়ে যেতে পারে মঙ্গলযান-২ অভিযান। সেখানে পাঠানো অরবিটার মঙ্গলের গতিবিধি দেখবে। জলও খুঁজবে। তবে ইসরোর অভিযানের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে গগনযান অভিযান। ২০২১ সালে তা হওয়ার কথা। বিক্রমের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই সেই নিয়ে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ইসরো। লেভেল ১-এর বাছাইপর্ব হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার ২৫ জন পাইলটকে পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বায়ুসেনার পাইলটই উচ্চ বায়ুস্তরে কখনও বেশি বা কখনও কম চাপে অত্যন্ত গতিবেগে বিমান ওড়াতে পারেন। সে কথা মাথায় রেখেই বায়ুসেনা থেকে গগনযানের চালক বাছাই করা হচ্ছে। চূড়ান্ত পর্বে ৩ জনকে বেছে নেওয়া হবে। তাঁদের রাশিয়া পাঠানো হবে মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণের জন্য। সেখানেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চরম পাঠের পাশাপাশি চরম থেকে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে শরীর সুস্থ রাখার পাঠও দেওয়া হবে। নভেম্বরের শেষেই এই প্রশিক্ষণ শুরু হতে পারে। অভিযানের জন্য সাতদিন নির্ধারিত হয়েছে। ওই সাতদিন পৃথিবীর কক্ষপথে কাটিয়ে আবার দেশের মাটিতে ফিরে আসবেন মহাকাশচারীরা।

২০৩০ সালে একটি মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতের। আর তা রয়েছে সেই চাঁদেই। এই অভিযান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা মহাকাশ বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালামের স্বপ্ন। তাঁর যুক্তি ছিল, চাঁদে ল্যাবরেটরি, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বানাতে খরচ কম পড়বে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও সেখানে গিয়ে থেকে গবেষণা চালাতে পারবেন। বর্তমানে মহাকাশে আমেরিকা, রাশিয়ার স্পেস স্টেশন থাকলেও চাঁদে কারও নেই। তবে মহাকাশে আর চাঁদে স্পেস স্টেশন বানানোর মধ্যে তফাত আছে। মহাকাশে তা বানানোর অর্থ, পৃথিবীর দূরের কক্ষপথে তাকে স্থাপন করা। যার দূরত্ব হবে ৬০ বা ৭০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে। কিন্তু, চাঁদে বানানোর অর্থ, তাকে ৪ লক্ষ কিলোমিটারে স্থাপন করা। এই দূরত্বে কাজ হবে কী করে?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কাজ তো করবে অ্যান্টেনা। কয়েক লক্ষ মাইলের দূরত্বের বস্তুও খুঁজে বের করার অ্যান্টেনা ভারতেই আছে। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, কক্ষপথে স্পেস স্টেশন বানালে তার রক্ষণাবেক্ষণে, জ্বালানি খরচের জন্য একটা নির্দিষ্ট খরচ প্রতি বছর হবে। তার চেয়ে একেবারে চাঁদে এমন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র বানিয়ে ফেলতে পারলে বরাবরের মতো খরচ থেকে রেহাই। ল্যাবরেটরিতে বসেই কাজ চলবে। চলবে রক্ষণাবেক্ষণও।

The post বিক্রমকে নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই ভবিষ্যতে চোখ, চন্দ্রযান ৩-এর প্রস্তুতি ইসরোর appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement