বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, রানাঘাট: পুজোয় (Durga Puja) বিপত্তি। একেই আকর্ষণীয় মণ্ডপ দেখতে উপচে পড়া ভিড়, তার মাঝে তুমুল বৃষ্টি, মণ্ডপে শর্ট সার্কিটের জেরে বিপত্তি। জোড়া ধাক্কা সামলাতে না পেরে কল্যাণীর (Kalyani) 'টুইন টাওয়ার' মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। যার জেরে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে খবর। বড়সড় বিপদ এড়াতেই কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মালয়েশিয়ার (Malyasia) বিখ্যাত টুইন টাওয়ারের আদলে কল্যাণীর ঘোষপাড়ার আইটিআই কলেজ মাঠে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল সেখানকার একটি ক্লাব ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি। মণ্ডপ তৈরিরর সময় থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় এই মণ্ডপটি দেখতে আগ্রহ দানা বেঁধেছিল মানুষজনের মধ্যে। পুজো শুরু হতে না হতেই টুইট টাওয়ারে ভিড় জমান তাঁরা।বহু দূর থেকেও দর্শনার্থীরা কল্যাণী গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
[আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে জোড়া হ্যাটট্রিক! ফের স্বচ্ছতায় সেরা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর]
শুক্রবার, পঞ্চমীর সন্ধেবেলা মণ্ডপের বাইরে দর্শনার্থীদের লাইনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দর্শনার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে স্বেচ্ছাসেবকরাও সামলাতে পারছিলেন না। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে খবর। যদিও লাঠিচার্জের খবর অস্বীকার করেছে।
[আরও পড়ুন: অস্ত্র নয়, দুর্গার হাতে তৃণমূলের পতাকা! বিতর্কে জড়ালেন হুগলির পঞ্চায়েত সদস্য]
এরপর আবার শনিবার সন্ধে নাগাদ বিপুল ভিড় উপচে পড়ে টুইন টাওয়ারের মণ্ডপে। এদিকে, বিকেল থেকে কল্যাণীতে টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাত চলছিল। সন্ধের পর শর্ট সার্কিট (Short Circuit) থেকে বিদ্যুৎবিভ্রাট হয়। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। নিরাপত্তার কথা ভেবে মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেন পুজো উদ্যোক্তারা। অরূপ মুখোপাধ্যায় নামে এক পুজো উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, ''ভিড় ছিল সকাল থেকে, বৃষ্টিও হচ্ছিল। সন্ধের পর শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। তীব্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাধ্য হয়ে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।'' যদিও রানাঘাট পুলিশ জেলার এসপি (SP) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মণ্ডপ বন্ধ হওয়ার বিষয়ে কোনও খবর নেই। তবে ওই মণ্ডপে প্রচুর ভিড় হচ্ছিল। ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ভিড় সামলানোর কাজ করছিল পুলিশও।