সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঁদরামির আর কাকে বলে! সাধারণত বেয়াড়া কোনও কাজের বিশেষণ হিসেবে এ কথা ব্যবহৃত হয়। তবে সে কারণে বাঁদরকুলকে সামগ্রিকভাবে দোষ দেওয়া যায় না। তবে কখনও সখনও শাখামৃগের দলের কেউ কেউ এমন এমন কর্ম করে ফেলে যে বদনাম জোটে। বালিতে আক্ষরিক অর্থেই এক দম্পতির সঙ্গে হল বাঁদরামি। এক বাঁদরছানার কীর্তিতে আপাতত চক্ষু চড়কগাছ বিশ্ববাসীর।
[ ওয়াশিংটনের রাস্তায় ছবি বেচে দিন গুজরান আইআইটি প্রাক্তনীর ]
ইন্দোনেশিয়ার বালি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা। সেখানেই বেড়াতে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। আর বালিতে গেলে মাঙ্কি ফরেস্টে ঢুঁ মারেন না এরকম পর্যটকও হাতে গোনা। যে দম্পতির ছবি ভাইরাল হয়েছে, তাঁরাও ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই অরণ্যে। আচমকাই কাছাকাছি চলে আসে একটি ছোট্ট বাঁদরছানা। তা ছানা বাঁদরকে দেখে মহিলা কিছু বলেননি। বরং গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে একটু আদরই করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে বাঁদরের প্রত্যাশা বোধহয় ছিল আরও বেশি কিছু। সাধারণ পর্যটকরা বাঁদরদের কিছু খাবারের জিনিস দেয়। কলা বা অন্য কিছু। সম্ভবত এই ছানাটিও সেরকম কিছু খোঁজ করছিল। কিন্তু মহিলার কাছে সেসব কিছুই ছিল না। ফলে শুরু হয় যাকে বলে বাঁদরঝোলা। একটা সময় রাস্তার উপরই বসে পড়েন মহিলা। আর বাঁদরছানাটি লাফাতে লাফাতে তাঁর গায়ে উঠে পড়ে। প্রথমে মহিলার কাঁধে উঠে পড়ে। তাঁর চুল নিয়ে খানিক্ষণ খেলাও করে। তারপর আচমকাই মহিলার স্তন ধরে টানাটানি শুরু করে। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যান তিনি। তাঁর স্বামীও হতভম্ব। পরে অবশ্য দুজনেই এ ঘটনায় হেসে ওঠেন। মহিলা জানাচ্ছেন, ছানাটি তো অত্যন্ত ছোট। সম্ভবত মায়ের মতো ভেবেই ও স্তন্যপান করতে চাইছিল।
[ মৃত্যুর দু’মাস পরও সন্ন্যাসীর মুখে ফুটল হাসি, অবাক দুনিয়া ]
আপাতত এই বাঁদরের কীর্তির ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা দেখে অনেকেই বলছেন, মায়ের ভালবাসায় কোনও ফারাক হয় না। বাঁদরছানা তো মহিলাকে মা হিসেবেই জড়িয়ে ধরেছে। মহিলার অভিব্যক্তিও প্রমাণ দিচ্ছে, এমন বাঁদরামিতে তিনি বিন্দুমাত্র অসন্তুষ্ট হননি।
[ হাসির চোটে মৃত্যু, বিশ্বে ১০ জন মানুষের পরিণতি এমনটাই ]
The post OMG! বাঁদরছানার উৎপাতে ভরা রাস্তায় এ কী হাল হল এই পর্যটকের appeared first on Sangbad Pratidin.