সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: #মিটু-র তালিকায় লেখক চেতন ভগতের নাম আগেই উঠেছে। এবার লেখক ইরা ত্রিবেদীও #মিটু-তে চেতনকে বিদ্ধ করলেন। বাদ দেননি সুহেল শেঠকেও। ইরা লিখেছেন, “চেতন প্রথমে ফোনে ফ্লার্ট করতেন। তার পর হোটেলে ডাকতেন মেয়েদের। এবং তরুণীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ধার না ধেরেই চেতন নিজের কাজ সারতেন।” ইরার কথায়, “গল্পের চিত্রনাট্যের মতোই রঙিন জীবন এঁদের।” প্রযোজক ভূষণ কুমারের নামেও মিটুতে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্ত্রী দিব্যা ভূষণ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে, স্বামীর হয়ে ব্যাট করতে মাঠে নেমে পড়েছেন অলোকনাথের স্ত্রী আশু। একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অলোকনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করার পর বিনতা নন্দার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন আশু। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ ওঠার পর থেকে অলোকনাথের মনের অবস্থা খারাপ। অর্থ দিয়েও এই ক্ষতিপূরণীয় নয়। তাই ঘটনার সত্যাসত্য জানতেই এই পদক্ষেপ।
[#MeToo-র পালটা, বিনতার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা অলোক নাথের]
তাঁর আইনজীবী অশোক সারগই জানিয়েছেন, বিষয়টিকে পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করা দরকার বলে আর্জি জানিয়েছেন মুম্বইয়ের আদালতে। বিনতারই লেখা টিভি সিরিজ ‘তারা’য় সহ-অভিনেত্রীকে লাগাতার নিগ্রহ করছিলেন অলোক। তাঁর অভিযোগ আরও পোক্ত হয়ে গিয়েছে ‘তারা’ সিরিজের অভিনেত্রী নবনীত নিশান মুখ খোলায়। অলোক নাথের অদ্ভুত ব্যবহারের কথা বলেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা মৃদুলও।
[এবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে #MeToo, ফাঁসলেন কঙ্গনা]
অন্যদিকে, নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের অভিযোগ অন্য মোড় নিয়েছে। তনুশ্রী জানিয়েছেন, প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে নানা পাটেকরের নারকো টেস্ট করা উচিত। আবার ফারহা খানের ভাই সাজিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিপাশা বসুও। তিনি জানান, শুটিং ফ্লোরে সাজিদ অনেক বাজে কথা বলেন। বিকাশ বহলের স্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়াতে চাইলে অভিনেত্রী কঙ্গনা বলেছেন, “কেউ খারাপ কাজ করলে তুমি তাঁর পাশে দাঁড়াবে?” #মিটু-তে অভিযোগ এসেছে স্টার ইন্ডিয়ার সিইও উদয়শংকরের বিরুদ্ধে। নিজেকে ওই সংস্থার বিপণন বিভাগের প্রাক্তন কর্মী দাবি করে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, উদয়শংকর মহিলা কর্মীদের কাজ হাসিল করার জন্য সবরকমভাবে ব্যবহার করেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন, এইভাবে দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করার পর তিনি কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এইভাবে যখন #মিটু-তে সাংবাদিকরা অভিযুক্ত হচ্ছেন, তখন দিল্লিতে পার্লামেন্ট স্ট্রিটে এম জে আকবরের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ দেখান সাংবাদিকরাই। মহিলা সাংবাদিকরাও নিষ্পাপ নন বলে মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তারও প্রতিবাদ জানান হয় সভা থেকে।