সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র মাস কুড়ি তিনি এসেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এর মধ্যেই প্রায় ৭ লক্ষ ফলোয়ার তাঁর। না, তিনি কোনও জনপ্রিয় অভিনেত্রী নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুগামী বাড়াতে কোনও পিআর সংস্থার দ্বারস্থও হননি তিনি। স্রেফ ভাল কাজের জেরেই ফেসবুকে অন্যতম জনপ্রিয় ছত্তিশগড়ের এই মহিলা পুলিশকর্মী স্মিতা তান্ডি।
স্মিতার পুলিশ ট্রেনিং চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর বাবা। তিনিও কনস্টেবল ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার কারণে আগাম অবসর নিতে বাধ্য হন। সে সময় চিকিৎসার জন্য বিশেষ টাকা পয়সা ছিল না স্মিতাদের হাতে। কিছুদিন পরই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। আর এরপরই স্মিতা এক পরিকল্পনা নেন। সোশ্যাল মিডিয়াকে জনকল্যাণের কাজে লাগানোর কথা ভাবেন তিনি। সেইমতো নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ঘটনার পোস্ট করতেন। যেখানেই যে বিপদে পড়েছে শুনতেন, ছুটে যেতেন তাঁর কাছে। ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করে নিতেন। তারপর সে সব কথা তুলে দিতেন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে। প্রথম প্রথম লোকে অবশ্য বিশ্বাস করতে চায়নি। কিন্তু তাঁর সৎ প্রচেষ্টা অল্পদিনের মধ্যেই স্বীকৃতি পায়। মানুষ বুঝতে পারে, তিনি সত্যিই পুলিশ অফিসার, সাধারণের ভাল করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তারপর থেকেই বহু মানুষ তাঁর মাধ্যমে অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে শুরু করেন।ক্রাউড ফান্ডিংককে কী করে সাধারণের কাজে লাগানো যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। রিকশাচালকের মেয়ের চিকিৎসা থেকে শুরু করে অসহায় রোগীর হাসপাতালের বিল মেটানো সবই তিনি করেছে চলেছেন ফেসবুককে মাধ্যম করেই।
তাঁর এই কাজ নজর কেড়েছে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদেরও। আর তাই ভিলাইয়ের উইমেন্স হেল্পলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া কমপ্লেইন্ট সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে সোশ্যাল মিডিয়া দিনভর রসিকতা-ইয়ার্কির জায়গা হয়ে উঠেছে, তাকে যে কীভাবে জনহিতকর কাজে লাগানো যায়, তারই নমুনা তুলে ধরেছেন স্মিতা।
The post ফেসবুকে ৭ লক্ষ অনুগামীকে কী কাজে লাগাচ্ছেন এই পুলিশকর্মী? appeared first on Sangbad Pratidin.