দিপালি সেন: নতুন শিক্ষাবর্ষে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর। বদল আসছে মিড ডে মিলের মেনুতে। ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত পুষ্টি দিতে ‘পিএম পোষণ’ বা মিড ডে মিলে আরও অর্থ বরাদ্দ করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সপ্তাহে চারদিন যাতে পড়ুয়ারা অতিরিক্ত ডিম-মুরগির মাংস-ফল পায় তাই এই ব্যবস্থা বলে খবর।
বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে রাজ্যের ২৪ জেলার জেলাশাসক, কলকাতা পুরনিগমের যুগ্ম কমিশনার, শিলিগুড়ির মহকুমার মহকুমা শাসক-সহ সমস্ত দপ্তরে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পিএম পোষণ প্রকল্পে ৩৭১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ৭৮ হাজার ৪০০ অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাকে বদনামের চেষ্টা বরদাস্ত নয়, বন্দে ভারতে পাথর ছোঁড়া ইস্যুতে ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী]
কেন এই অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করা হল? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৪ দিন পড়ুয়াদের অতিরিক্ত ডিম- মুরগিমাংস-ফল খাওয়ানোর জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। হিসেব বলছে ছাত্র পিছু ২০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল, ১৬ সপ্তাহে চারদিন ডিম-মাংস-ফল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। উল্লেখ্য, মিড ডে মিলের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র ও ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য দেয়। যদি ওই বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে খুশি নন মাধ্যমিক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতির সভাপতি অনিমেষ হালদার। তিনি বলেন, “পৌষ্টিক আহারের জন্য সপ্তাহে যে ২০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা অত্যন্ত কম। যেখানে একটা ডিমের দাম ৭ টাকা সেখানে মাংস বা ফল তো পরের কথা। ফলে এই বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।”
মিড ডে মিলে বরাদ্দ বৃদ্ধির দিনই ফের এই ইস্যুতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, মিড ডে মিলের অর্থ অন্যখাতে ব্যয় করছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে তদন্ত করতে অডিটের দল পাঠানোর আরজি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “নতুন অভিযোগ করার আগে, আগের অভিযোগ মিথ্যা যা তা নিয়ে ক্ষমা চাইলেন না কেন? বন্দে ভারত, অভিষেকের ছেলের জন্মদিন নিয়ে তো ক্ষমা চাইলেন না। আগের গুলো আগে ক্ষমা চাওয়া শুরু হোক।”