শুভঙ্কর বসু: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মৃদু আঁচে ইতিমধ্যেই গা সেঁকতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতি! নির্বাচন কমিশনও পিছিয়ে নেই। ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক(সিইও) আরিজ আফতাব। বুথ পুনর্গঠন, ইভিএম-ভিভিপ্যাট পরীক্ষা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ-সহ একাধিক বিষয়ে এদিন জেলা শাসকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অবাধ ভোট সংগঠিত করার প্রথম ধাপ হল নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির কাজ নিশ্চিত করা। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর আপাতত রাজ্যজুড়ে সেই কাজ চলছে। তালিকায় সংযোজন-বিয়োজনের প্রক্রিয়া চলবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তারপর জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ওই তালিকার ভিত্তিতে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সংঘটিত হবে। এজন্য প্রতি সপ্তাহে শনি-রবিবার বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে কমিশন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া ঘিরেই ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ জড়ো হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। অভিযোগ, বিশেষ ক্যাম্পে বিএলও-দের দেখা মিলছে না। বিএলও হিসাবে স্থায়ী কর্মীদের নিযুক্তিকরণের নির্দেশিকা থাকলেও একাধিক জেলা প্রশাসন তা মানছে না। প্রতিটি বুথে বিএলও-দের উপস্থিতির কথা বলা হলেও বাস্তবে নির্বাচন প্রেমিসেস পিছু একজন বিএলও নিযুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও মানুষকে অনলাইনমুখী করার পাশাপাশি কোথাও কোথাও আশা কর্মীদের দিয়ে তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে বলে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সূত্রের খবর, এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন জেলাশাসকদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর।
[আরও পড়ুন: ‘সাপুড়েকে সাপের ছোবলেই মরতে হয়, তৃণমূল ধুলিসাৎ হবে’, শুভেন্দুর ইস্তফায় প্রতিক্রিয়া অধীরের]
একাধিক জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, মহামারী পরিস্থিতির কারণে কর্মীর অভাবে নির্দেশিকা পালনে কিছু কিছু ঘাটতি রয়েছে। আগামীতে যাতে সেসব ঘাটতি পূরণ করে নির্দেশিকা যথাযথভাবে পালন করা যায় তা নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এদিন বুথ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়েও জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে খবর। মহামারীর কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব বুথে এক হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন সেসব বুথ ভেঙে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চিহ্নিতকরণ ও অতিরিক্ত বুথ গঠনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক রিপোর্ট এদিন জেলাশাসক জমা দিয়েছেন বলে খবর। এছাড়াও, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনগুলি কতটা প্রস্তুত তাও এদিন খতিয়ে দেখেছে সিইও অফিস। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের জেলা প্রশাসন গুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবে সিইও অফিস।