সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ভিত্তিমূল হল নির্বাচন। সাংবিধানিক মূল্যবোধকে রক্ষা করাই বিচারকদের ধারাবাহিক কাজ। ভারতে লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ভারতে বিচারবিভাগের উপর রাজনৈতিক চাপ পড়ে কি? এই প্রশ্নেরও উত্তর দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যাচর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠানে 'সমাজে বিচারপতিদের মানবিক ভূমিকা' বিষয়ে ভাষণ দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বিচারবিভাগকে আরও বেশি স্বচ্ছ তথা নিষ্কলুষ করে তুলতে পারে। সোশাল মিডিয়ায় বিচারকদের সম্পর্ক 'আপত্তিকর' সমালোচনা হলেও প্রধান বিচারপতির দাবি, সার্বিকভাবে আধুনিক প্রযুক্তি বিচারবিভাগকে সাহায্য করে। যার ফলে উপকৃত হয় গোটা সমাজ।
[আরও পড়ুন: ভোটবাক্স খুলতেই উধাও ৩০ লক্ষ কোটি টাকা! বাজারকে প্রভাবিত করতেই কি এক্সিট পোল ‘স্ক্যাম’?]
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ভারতের সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ভিত্তিমূল হল নির্বাচন... ভারতে বিচারপতিরা নির্বাচিত হন না। এই কারণেই সাংবিধানিক মূল্যবোধকে রক্ষা করা বিচারকদের ধারাবাহিক কাজের মধ্যে পড়ে। প্রধান বিচারপিত আরও বলেন, গণতন্ত্রে বিচার বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যেখানে আমাদের ঐতিহ্য প্রতিফলিত হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে ভালো সমাজ ঠিক কেমন হওয়া উচিত তাও প্রতিফলিত হয় বিচারবিভাগীয় কাজে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু এনডিএ বৈঠক, নীতীশ-নায়ডুর দাবির মুখে কতটা নমনীয় হবে বিজেপি?]
ন্যায়দণ্ড হাতে নিয়ে কী কখনও সামাজিক এবং রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছেন? উত্তর চন্দ্রচূড় দাবি করেন বিচারপতি হিসেবে ২৪ বছরের কেরিয়ারে কখনই রাজৈনতিক চাপ অনুভব করেননি। জানান, আমরা এমন জীবনযাপন করি যা তুলনামূলকভাবে সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে বিচ্ছিন্ন। তবে যে কোনও বড় নির্দেশের ফলে সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া অনুভব করা যায় বলেই জানান বিচারপতি।