মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবে মৃত্যু হল এক শিশুর। শনিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উদয়নারায়ণপুরে। এদিনও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। এর মাঝেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
উদয়নারায়ণপুরের কুরচি শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকার পাত্র পাড়ার বাসিন্দা শিশুটি। নাম ঋদ্ধি ধাড়া। বয়স আড়াই বছর। এদিন দুপুরে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিল। বাড়ির উঠোন জলে ডুবে রয়েছে। তাই বাবার হাত ধরে তাকে দু’তলায় উঠে যেতে বলেছিল। সেই সময় বাবার হাত ছাড়িয়ে জলের কাছে চলে আসে।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র ছাড়বেন না, এজেন্টদের নির্দেশ বঙ্গ বিজেপির]
তখনই পা ফসকে পড়ে যায় জলে। উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সন্ধেয় তাঁদেপ বাড়িতে যান উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এদিকে শুক্রবারের পর শনিবারেও নতুন করে এলাকা প্লাবিত হয়েছে হাওড়া ও হুগলি। হুগলির খানাকুলের প্রায় কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত হয়েছে। দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে উদয়নারায়নপুর। আবার উদয়নারায়ণপুরের জল ক্রমশ আমতা দু’নম্বর ব্লকে ঢুকেছে। প্লাবিত হয়েছে আমতা দু’নম্বর ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। ফলে উদয়নারায়নপুর থেকে আপাতত জল কমছে না। প্রায় একই অবস্থা আরামবাগ মহকুমার।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: তৃণমূল ভবনে ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা]
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার আরামবাগ এলাকায় এসেছিলেম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদয়নারায়নপুর এবং আমতায় যান রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়, ছিলেন বিধায়ক সমীর পাঁজা, সুকান্ত পাল, নির্মল মাজি, সীতানাথ ঘোষ, হাওড়ার জেলা শাসক মুক্তা আর্য প্রমুখ। আমতা দু’নম্বর ব্লকের দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য ৩২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরেও ৯৮টি ত্রাণ শিবির এখনো চলছে। উদয়নারায়ণপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় নেমেছে সেনা।