সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশে লোকানো আছে সৃষ্টির রহস্য! ফলে সূর্য-চাঁদ-তারা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই মানুষের। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা (Space Scientists) দিন-রাত এক করে নতুন নতুন গবষণায় ব্যস্ত। যেমন, চিনের (China) মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বছর চারেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা কৃত্রিম চাঁদ (Artificial Moon) তৈরির প্রকল্পে হাত দিয়েছেন। সেই চাঁদ মহাকাশে স্থাপন করা হবে। যা অমাবস্যাতেও আলোকিত করবে পৃথিবীকে। এবারও সেই চিনের বিজ্ঞানীরাই জানালেন, তাঁরা পৃথিবীর বুকে হুবহু চাঁদের পরিবেশ তৈরি করতে চলেছেন। যা মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটতে চলেছে।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, নকল চন্দ্রপৃষ্ঠ হবে হুবহু আসল চাঁদের মতোই। চাঁদের মাটিতে যতটুকু অভিকর্ষ থাকে, ততটুকুই থাকবে সেখানে। অর্থাৎ, সেখানে পৌঁছলে মানুষ ভাবতে বাধ্য হবে, যে সে মহাকাশ যাত্রা করে দূর আকাশের চাঁদেই পৌঁছে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: এই প্রথম! সৌরজগতে অদ্ভুতদর্শন গ্রহের হদিশ পেয়ে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা]
তবে, স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, নকল চাঁদ মোটেই সাধারণের বিনোদনের জন্য তৈরি কোনও ট্যুরিস্ট স্পট নয়। এভাবে পৃথিবীর মাটিতে চাঁদের পরিবেশ তৈরি করার ভাবনা শুধুমাত্র মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে গতি দেওয়ার জন্যে। জানা গিয়েছে, এরপর থেকে চিনের চন্দ্র অভিযান প্রকল্পের মহাকাশচারীদের এই নকল চাঁদের দেশেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে করে তাঁরা আদত চাঁদে পৌঁছে কোনওরকম অস্বস্তিতে না পড়েন।
কৃত্রিম চাঁদ প্রকল্পের অন্যতম গবেষক চায়না ইউনিভার্সিটি অফ মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক লি রুলিন (Li Ruilin) বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে বিমানে বা অন্য কয়েকটি পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণের জন্য অভিকর্ষ কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনি যতক্ষণ চাইবেন, ততক্ষণ সেই পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে।
জানা গিয়েছে, নকল ছোট চাঁদটি হবে দুই ফুট ব্যাসার্ধের। যার পৃষ্ঠে থাকবে চাঁদের মতোই পাথর, ধুলিকণা, গর্ত। মনে রাখা ভাল, চাঁদের অভিকর্ষ কিন্তু শূন্য নয়, বরং পৃথিবীর অভিকর্ষের ছয় ভাগের এক ভাগ। সেই ব্যবস্থাই থাকছে চিনের চাঁদের দেশে।
[আরও পড়ুন: দের মাটিতে কুঁড়েঘর! অবশেষে রহস্য উন্মোচন করল চিনা রোভার]
উল্লেখ্য, চিন চন্দ্র অভিযান নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা শুরু করেছে গত কয়েক বছর ধরেই। যে মিশনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যত ‘পরিবর্তন’ ৬,৭ ও ৮। তার অন্যতম হল নকল না, আসলে চাঁদের বুকেই একটি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করে ফেলা। সেই কাজে সাফল্য পেতে হলে পৃথিবীর মাটিতেই চাঁদকে স্থাপন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ছিল। এবার সেই কাজটাই সেরে ফেলল চিন।