সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে প্রথম থেকেই সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে নজর দিয়েছে লাল চিন৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রমাগত দেশের স্থল, জল ও বায়ু সেনাকে উন্নত করে তুলেছে বেজিং৷ আন্তর্জাতিক বিশ্বে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে ২০২০-র মধ্যে মহাকাশেও আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে ড্রাগনের দেশ৷ তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্র৷ যেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারিতে হয়ত একটি সম্পূর্ণ ড্রোন বাহিনী তৈরি করে ফেলেছে চিন৷ অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ভারতকে৷ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে একটি তালিকা৷ যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, চিনা সেনার কোন বাহিনীতে ইতিমধ্যে স্থান পেয়েছে কোন কোন অত্যাধুনিক ড্রোন বা আন আর্মড ভেহিক্যাল(ইউএভি) এবং তাদের শক্তি কতটা৷
ASN series: মূলত চিনা সেনার সশস্ত্র বাহিনী এই ড্রোন ব্যবহার করে থাকে৷ অন্যান্য আন আর্মড ভেহিক্যালের মতো দেখতে হলেও৷ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অনেক দূর থেকে আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে এই মানববিহীন উড়ন্ত যানের৷
Changying: চিনা নৌ-বাহিনীর হাতে থাকা অন্যতম অত্যাধুনিক ড্রোন এটি৷ ২৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুর উপরে নজরদারি চালাতে সক্ষম এই উড়ন্ত যান৷ একটানা ৪০ ঘণ্টা কোনও রিচার্জ ছাড়াই আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম এটি৷ সূত্রের খবর, ২০১৩ থেকে পূর্ব চিন সাগরে নজরদারির জন্য এই যানের উপরে ভরসা রেথেছে বেজিং৷
Silver Eagle: চিনা নৌবাহিনীর অস্ত্রাগারে থাকে আরও একটি মারণাস্ত্র হল এই মানববিহীন যান৷ ২০১১ থেকে এটি ব্যবহার করেছে চিন৷ এতে রয়েছে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিস্টেম৷ এছাড়া বহুদূরে যোগাযোগ গড়ে তুলতে এবং ২০০ কিলোমিটার দূর থেকে নজরদারি চালাতে সক্ষম এই যানটি৷
Gogji: মার্কিন প্রেডেটর ড্রোনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম চিনা মানববিহীন এই উড়ন্ত যানটি৷ এটির পাল্লা চার হাজার কিলোমিটার৷ দশ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই ড্রোন৷ আকাশ থেকে মাটিতে হামলার সময় এর সাহায্য নিয়ে থাকে বায়ুসেনা৷
Soaring Dragon: ভারতের সঙ্গে চলা ৭৩ দিনের ডোকলাম সমস্যার সময় এই ড্রোনের সাহায্য নেয় চিন৷ বিতর্কিত ডোকলামের উপরে এই ড্রোনের সাহায্যেই নজরদারি চালায় চিনের বায়ুসেনা৷ একসঙ্গে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় এই ড্রোন৷ কারণ এরমধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ও প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন মেমরি সিস্টেম৷
EA-03: স্থল ও জলে যেকোনও পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারি রাখতে সক্ষম এই ড্রোন৷ মূলত দক্ষিণ চিন সাগরে শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারি চালাতে এর সাহায্য নিয়ে থাকে বেজিং৷
The post শত্রুর উপর নজরদারি চালাতে শক্তিশালী ‘ড্রোন বাহিনী’ তৈরি করেছে চিন! appeared first on Sangbad Pratidin.