সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামরিক মহড়ার নামে হামলা চালাতে পারে চিন (China)। যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে এমনটাই দাবি করেছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্রটির দাবি, সমুদ্রে প্রশিক্ষণের আড়ালে তাদের এলাকা দখল করার ছক কষছে লালফৌজ।
[আরও পড়ুন: ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, তাইওয়ানের বন্দরগুলি ঘেরাও করতে চলেছে চিন!]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, চিনা আগ্রাসন নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, সামরিক মহড়ার নামে তাইওয়ানের জলসীমার কাছে কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হাজার হাজার ফৌজ মোতায়েন করতে পারে চিন। এবং সুযোগ বুঝে হামলা চালাতে পারে তারা। একইসঙ্গে, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে নৌবহর পাঠিয়ে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করতে পারে লালফৌজ। তারপর, আচমকা প্রচণ্ড মিসাইল হামলা চালিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির সৈকতে নেমে আসতে পারে হাজার হাজার চিনা সেনা।
একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে কিছুটা হলেও স্বস্তির কথা শোনানো হয়েছে। বলা হয়েছে, হামলা শুরু করলেও হানাদার বাহিনীকে রসদ জোগান দেওয়া এই মুহূর্তে চিনের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ কৌশলগত জায়গাগুলিতে পালটা হামলার জন্য প্রস্তুতি তইওয়ানের ফৌজ। পাশাপাশি, লালফৌজের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকা ও জাপান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চ্যাং কয়েকদিন আগেই দাবি করেছিলেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি দখল করতে প্রবল যুদ্ধ শুরু করবে চিন।
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন । তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। সেই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে এক বিবৃতি জারি করে চিনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, স্বশাসিত অঞ্চলটির যে সমস্ত রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবেন তাঁদের অপরাধী তকমা দেওয়া হবে। তাঁদের কোনওদিন চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখানে তাঁদের কোনও ব্যবসাও করতে দেওয়া হবে না।