সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে ক্রমেই বড় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা ভারতকে প্রতিপক্ষের চোখে দেখে চিন। শুধু তাই নয়, আমেরিকা-সহ অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত ও সামরিক সুসম্পর্ক যাতে মজবুত না হয়, তা মনে প্রাণে চায় কমিউনিস্ট দেশটি। একটি মার্কিন রিপোর্টে সম্প্রতি এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলা জয়ই লক্ষ্য, রাজ্যে ডজনের বেশি নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি]
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের ৭০ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে আমেরিকাকে বিশ্বের সুপার পাওয়ার পদ থেকে সরিয়ে সেই স্থান দখল করতে মরিয়া চিন। এই উদ্দেশ্যে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে ভারতের কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে দানা বাঁধতে না পারে তেমনটাই চায় চিন। হোয়াইট হাউসে পটপরিবর্তনের আগে এই রিপোর্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (Chinese Communist Party) যে ক্ষমতা দখলের ইঁদুর দৌড়ে শামিল হয়েছে, এই রিপোর্টে বিশেষভাবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চিন সব সময় চেষ্টা করে Association of Southeast Asian Nations (ASEAN) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সার্বিক নিরাপত্তা, স্বায়ত্বশাসন ও বাণিজ্যিক স্বার্থ ধ্বংস করতে। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলেও রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কারণ, বেজিংয়ের প্রধান লক্ষ্যই হল আমেরিকার বন্ধু দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স এবং ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ানের মতো ক্রমে শক্তিশালী বন্ধু হয়ে ওঠা দেশগুলিকে নিশানা করা। এই সুদৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই চিনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে চিন। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছিল লালফৌজ। তারপর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এপর্যন্ত ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে চিন (China) ও ভারতের মধ্যে। নভেম্বরের ৬ তারিখ চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস-এর ব্রিগেডিয়ার ঘাই। ওই বৈঠকের পর সরকার দাবি করে, বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।