সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের মারাত্মক সংক্রমণের মধ্যেই বিদেশিদের জন্য দেশের সীমান্ত খুলে দিয়েছিল চিন (China)। মাত্র দু’দিনের মধ্যেই জাপান (Japan) ও দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) থেকে আসা পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে বেজিং। এই দুই দেশের নাগরিকদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ভিসার আবেদন নাকচ করবে চিন। সিওলের চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত স্বল্প মেয়াদি ভিসার অনুমোদন দেওয়া হবে না জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের। প্রসঙ্গত, বেজিং আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরেই চিন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কঠোর কোভিড বিধি লাগু করেছিল জাপান সরকার।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ কোরিয়ার চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত চিন থেকে সেদেশে পা দেওয়া যাত্রীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে, ততদিন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ভিসার অনুমোদন দেবে না বেজিং সরকার। জাপানের পরিবহণ মহলেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার আন্তর্জাতিক সীমান্তের বিধিনিষেধ প্র্যত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গেই চিন থেকে আসা যাত্রীদের উপর একাধিক কোভিড বিধি চাপায় জাপান সরকার। তারপরেই বেজিংয়ের এই সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে স্থানীয়দের কাজ না দিলে বড় আন্দোলনের হুমকি, শোরগোল পাকিস্তানে]
স্বল্পমেয়াদি ভিসার অনুমোদন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও, বাস্তবের ছবিটা অন্যরকম বলেই জানা যাচ্ছে। টোকিওর এক ট্র্যাভেল এজেন্সি জানিয়েছে, নয়া নির্দেশিকা আসার পর থেকে কোনও ধরনের ভিসার জন্যই আবেদন করা যাচ্ছে না। ওয়েবসাইট থেকে ভিসার আবেদন করার সমস্ত পদ্ধতি মুছে ফেলা হয়েছে। নয়া নির্দেশিকার ফলে দুই দেশের বাণিজ্য খতিগ্রস্ত হবে। সেই সঙ্গে চিনে গিয়ে চিকিৎসা করার পথও বন্ধ হয়ে যাবে দুই দেশের নাগরিকদের।
প্রসঙ্গত, বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ শিথিলের পর চিন প্রশাসনের অনুমান, আগামী ৪০ দিনে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ চিনে যাতায়াত করবেন। উল্লেখ্য, চিনা নববর্ষ (Lunar New Year) উদযাপন করতে প্রতি বছরই প্রচুর সংখ্যক মানুষ সেদেশে উপস্থিত হন। চিনের ‘গ্রেট মাইগ্রেশন’ নামে অভিহিত করা হয় এই বিষয়টিকে। অতিমারী পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ আরও বেশি থাকবে বলেই অনুমান। শনিবার থেকেই ৪০ দিন ব্যাপী চিনা নববর্ষের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সৎ মা ক্যামিলিয়া ‘ভিলেন’! ফের বোমা ফাটালেন রাজকুমার হ্যারি, শোরগোল ব্রিটেনে]