shono
Advertisement

তিব্বতে কমিউনিস্ট শাসনের খাঁড়া, এবার বেজিংয়ের নিশানায় যাযাবর গোষ্ঠী

দেশ দখল করলেও তিব্বতিদের মন জয় করতে পারেনি চিন।
Posted: 01:56 PM Feb 18, 2022Updated: 01:56 PM Feb 18, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গায়ের জোরে দেশ দখল করলেও তিব্বতিদের মন জয় করতে পারেনি চিন (China)। স্বাধীনতার দাবিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গায়ে আগুন দেওয়ার ছবি আজও গায়ে কাঁটা দেয়। তাই বিদ্রোহের আশঙ্কায় এবার তিব্বতের যাযাবর গোষ্ঠীর উপর ভয়াবহ অত্যাচার শুরু করেছে লালচিন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে একবছরেই পুড়ে খাক ৪৫০০ বাড়ি, প্রকাশ্যে জুন্টার অমানুষিক অত্যাচারের ছবি]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিব্বতের ড্রাগো প্রদেশে যাযাবর গোষ্ঠীগুলির উপর নেমে এসেছে কমিউনিস্ট স্বৈরশাসনের খাঁড়া। চিনা পুলিশের হতে বন্দি হয়েছেন কয়েকশো যাযাবর। অনেককেই ভয়ানক ‘লেবার ক্যাম্প’গুলিতে পাঠানো হয়ছে। কেন এহেন পদক্ষেপ করল বেজিং? মনে করা হচ্ছে, যাযাবর গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্রোহের আশঙ্কা করছে জিনপিং প্রশাসন। ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’ সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাস থেকেই ধৃতদের ফোনে কোনও ধরনের ‘রাজনৈতিক ভাবে সংবেদনশীল’ নথি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে যাযাবরদের পাকড়াও করে জেলে পুরছে চিন।

উল্লেখ্য, গতবছর এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে বলা হয়, বিদ্রোহের আশঙ্কায় লাসার উপর সাঁড়াশি চাপ তৈরি করে ভিক্ষুদের মঠছাড়া করছে কমিউনিস্ট দেশটি। তিব্বতের পার্শ্ববর্তী কুইংহাই প্রদেশের মঠগুলি থেকে বিক্ষুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে চিন। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছিল, গত অক্টোবরে ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে একটি নয়া আইন আনে চিন। ওই আইনে বলা হয়েছে, নাবালকদের ভিক্ষু হিসেবে মঠে রাখা যাবে না। কোনও ধর্মীয় আচার আচরণে অংশ নিতে পারবে না তারা। তারপরই কুইংহাইর জাখিইউং-সহ অন্যান্য মঠ থেকে কমবয়সী সন্ন্যাসীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। মঠগুলিতে রীতিমতো নজরদারি চালাচ্ছে সরকারি আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আইনে জারি বিধিনিষেধের পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম লাগু করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিব্বতি ভাষায় পাঠদান করা যাবে না। প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট হুমকি দেওয়া হয়েছে, যারা এই নিয়ম মানবে না তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, কুইংহাই প্রদেশে তিব্বতি সংস্কৃতির অত্যন্ত শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। সেখানকার মঠগুলি ‘স্বাধীন তিব্বত’ আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। সেগুলির উপর দলাই লামার প্রভাব রয়েছে। ফলে সেই প্রভাব খর্ব করে ভবিষ্যতে বিদ্রোহের অঙ্কুর বিনষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ চিনের।

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়াতে তালিবানকে আশ্বাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement