সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সম্মুখসমরে চিন (China) এবং আমেরিকা (America)। তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন এবং কানাডিয়ান যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতির জন্য তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বেজিং। আর এই নিয়েই ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করল বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের সম্পর্ক।
গত সপ্তাহেই তাইওয়ান প্রণালীতে যাতায়াত করেছিল আমেরিকা এবং কানাডার একটি যুদ্ধজাহাজ। আর সেই প্রসঙ্গেই বিবৃতি জারি চিনের। বেজিংয়ের অভিযোগ, আমেরিকার এই কাজের জন্য এশিয়ার এই অংশের শান্তি এবং স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এদিকে, মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে জানিয়েছে, আরলেঘ বার্ক-শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী ইউএসএস ডিউই তাইওয়ানের সরু জলপথ দিয়ে যাতায়াত করেছে। এই জলপথই চিন ও তাইওয়ানকে আলাদা করেছে। মিত্রদেশগুলির প্রতি আমেরিকার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থেই এসেছিল এই ডেস্ট্রয়ার। এরপরই চিনের এই পালটা বিবৃতি।
[আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ‘টপলেস’ প্রধানমন্ত্রী হতে চান, ব্রিটেনের তরুণীর দাবি ঘিরে শোরগোল]
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চিন। আর এর মধ্যেই চলতি মাসে টানা চারদিন তাইওয়ানের আকাশে হানা দিয়েছিলেন চিনের যুদ্ধবিমান। সে দেশ দখল নিয়ে ক্রমাগত হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বেজিং। তার কিছুদিন আগেই আবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছিলেন, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে আমেরিকা। বলেন, “তাইওয়ানের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধটা পাথরের মতো কঠিন। ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে এটা খুবই জরুরি।” পরোক্ষে চিনকে বার্তা দিয়ে ওই দুঁদে মার্কিন আমলা আরও বলেন, “আমরা সবসময় বন্ধুদের পাশে দাঁড়াব। গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের সঙ্গে আমরা আগামী দিনেও সম্পর্ক আরও মজবুত করে যাব।” তারপরই আমেরিকার এই পদক্ষেপ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা (America) জেরবার। ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলি আপাতত তালিবানের গতিবিধি নিয়ে ব্যস্ত। এটাই তাইওয়ানের উপর চাপ তৈরির মোক্ষম সুযোগ। কারণ মার্কিন মদত ছাড়া লালফৌজের সামনে তাইওয়ান দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু সদ্য আফগানিস্তানে ২০ বছরের লড়াই শেষ করে চিনের মতো শক্তির সঙ্গে সংঘাতে নামতে চাইবে না ওয়াশিংটন। তাই এই সুযোগে তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে বেজিং।