সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিলিপিন্সের পর এবার জাপানের (Japan) জলসীমায় অনুপ্রবেশ চিনা রণতরীর। এই ঘটনায় সুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: COVID-19: গবেষণাগার নয়, ইউহানের বাজার থেকেই ছড়িয়েছে করোনা, নতুন তথ্য দিলেন বিজ্ঞানী]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, গত শুক্রবার জাপানের সেনকাকু দ্বীপসমূহের পাশে জাপানের জলসীমায় ঢুকে পড়ে চিনের চারটি রণতরী। জাপানের সংবাদমাধ্যম কিওডো নিউজকে উদ্ধৃত করে স্পুটনিক জানিয়েছে, চলতি বছর এনিয়ে জাপানের জলসীমায় অন্তত সাঁইত্রিশবার অনুপ্রবেশ করেছে চিনা টহলদারি জাহাজ। বলে রাখা ভাল, পূর্ব চিন সাগরে জাপানের সেনকাকু দ্বীপসমূহকে বরাবর নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে চিন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নয়া আইন পাশ করে নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আরও ক্ষমতা দেয় বেজিং। ফলে সেনকাকুর পাশে চিনের উপকূলরক্ষী বাহিনী আগ্রাসী হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের। ‘অনুপ্রবেশ’ করলে বিদেশি জলযানগুলির উপর হামলা চালানোর অধিকার দিয়ে নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীকে আর আগ্রাসী করে তুলেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সমুদ্রে চিনা নৌবহরের আগ্রাসী কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে গত মার্চ মাসে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে আমেরিকা ও জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। তাইওয়ানে আমেরিকার ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস ‘আমেরিকান ইন্সটিটিউট’ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ-য়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদানপ্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ফিলিপিন্সের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন’ তথা বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের মধ্যে ঢুকে পড়ে চিনা উপকূলরক্ষী বাহিনী। ফিলিপিন্সের ফৌজের জন্য রসদ নিয়ে যাওয়া দু’টি নৌকার উপর জলকামান দিয়ে হামলা চালায় তারা। এই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।