সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অহমিয়া বিনোদুনিয়ায় বেশ পরিচিত মুখ নন্দিনী কাশ্যপ। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত 'রুদ্র' দাপিয়ে ব্যবসা করেছে বক্স অফিসে। এবার সেই জনপ্রিয় নায়িকার বিরুদ্ধেই এক পড়ুয়াকে পিষে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল। ঘটনার জেরে গুয়াহাটি থেকে গ্রেপ্তার নন্দিনী।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা যায়, ২৫ জুলাই ভোররাত তিনটে নাগাদ গুয়াহাটির দক্ষিণগাঁও এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন নন্দিনী কাশ্যপ। সামিউল হক নামে ওই পড়ুয়া সেসময়ে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই অভিনেত্রীর এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন সামিউল। তড়িঘড়ি প্রত্যক্ষদর্শীরা জখম পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। জানা যায়, দক্ষিণগাঁও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই ঘাতক গাড়ির মালকিনকে খুঁজে বের করে পুলিশ। যার জেরে বুধবার গুয়াহাটি থেকে নন্দিনী কাশ্যপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২১ বছর বয়সি সামিউল হক নলবাড়ি পলিটেকনিকের ছাত্র। পাশাপাশি পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য গুয়াহাটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে পার্ট টাইম কাজ করতেন নিহত ওই পড়ুয়া। পুলিশের কাছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান, পথচারীকে পিষেও সাহায্য করার জন্য গাড়ি থামাননি নন্দিনী কাশ্যপ। সামিউলের সহকর্মীরা পিছু পিছু ধাওয়া করে অভিনেত্রীর গাড়িটিকে। পরে পুলিশ কাহিলিপাড়ার এক আবাসন থেকে ওই ঘাতক গাড়িটিকে উদ্ধার করে। যেখানে নন্দিনী গাড়িটিকে লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর পরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার জেরে অহমিয়া বিনোদুনিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
