সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘনিষ্ঠরা জানেন, পরিচালক অরুণ রায় কতটা সিনেমা পাগল মানুষ ছিলেন। যে কোনও সিনে আড্ডার মধ্যমণি হয়ে থাকতেন। তাঁর হাতে মুঠোয় ছিল গোটা বিশ্ব সিনেমা। ঠিক যেন সেই ভারতীয় সিনেমার আদিপুরুষ হীরালাল সেন। যিনি ক্যামেরায় চোখ রাখলেই, অন্য এক জগতের জন্ম দিতেন। আর তাই হয়তো অরুণ রায়ের হাত ধরেই হীরালালের জীবন ফুটে উঠে সিনেমার পর্দায়। কাকতালীয়ভাবে হীরালালের জীবনের সমাপতনের সঙ্গে অরুণ রায়ের জীবনে শেষ অধ্যায় যেন মিলে যায়। চোখে অসংখ্য সিনেমা তৈরির স্বপ্ন নিয়েই মৃত্যুকে বরণ করলেন (Arun Roy Dies)। বুকের মধ্যে কঠিন রোগের কষ্ট নিয়েই চলে গেলেন। তবে মানুষটি শেষ পর্যন্ত মারণরোগ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন। আর জি কর হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও, মুখে হাসি রেখেছিলেন। কিন্তু নিয়তি! বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ সব স্বপ্ন চোখে নিয়েই চলে যেতে তাঁকে।
অরুণ রায়ের ছবির 'হীরালাল' অভিনেতা তথা চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দা, পরিচালকের জীবন-মরণ লড়াইকে খুব সামনে থেকেই দেখেছেন। আর তাই হয়তো, প্রিয় পরিচালকের মৃত্য়ুর খবর পেয়ে কিঞ্জল সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, হীরালালের মতোই... আমার হীরালাল.. ভালো থেকো।
অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী লিখলেন, ''পরিচালক অরুণ রায় আর নেই। নতুন বছরের দ্বিতীয় সকালে চলে গেলেন সব মায়া ছেড়ে। যে অরুণ দা কে আমরা চিনি, সেই অরুণ দা থেকে যাবেন আমাদের মনের ভিতর-- ঠাট্টা, ইয়ার্কি, সিনেমা দেখা আর সিনেমার আলোচনা নিয়ে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন বিষয়কেও মজা করে কাটিয়ে দেওয়ার মত সাহস ছিলো তাঁর। শুধু যদি একটু নিয়ম, একটু সংযম.......যাই হোক।''
দেব অভিনীত ‘বাঘাযতীন’ ছবির শুটিংয়ের সময়ই ক্যানসার ধরা পড়ে পরিচালকের। তবে তাঁর জন্য ছবির কাজ বন্ধ রাখেননি অরুণ রায়। প্রথম স্টেজেই খাদ্যনালীতে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। অসুস্থতা নিয়েই ছবির শুটিং শেষ করেছিলেন পরিচালক। শুধুই ‘বাঘাযতীন’ নয়, শেষ করেন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবির কাজও। 'হীরালাল', 'বাঘা যতীন' ছাড়াও 'এগারো', '৮ / ১২ বিনয়-বাদল-দীনেশ' ছবি তৈরি করে প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন অরুণ রায়। তাঁর প্রয়াণ শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া।
অরুণ রায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে শোকাহত পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তও। তিনি লিখলেন, ''এটা ঠিক করলেন না অরুণ দা...।''