সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুঘল সাম্রাজ্যের খুঁটিনাটি পড়ানো হয়। তাহলে মারাঠা বীর সম্ভাজি মহারাজ উপেক্ষিত কেন? সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'ছাবা' দেখে এই প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। সোশাল মিডিয়ায় এমন মন্তব্য করার পরেই তাঁকে তোপ দেগেছে নেটদুনিয়া। পাশাপাশি নেটিজেনদের একাংশ আবার সাবধান করেছেন আকাশকে।
সপ্তদশ শতকে বাবা শিবাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তরুণ সম্ভাজি মুঘলদের দাসত্ব স্বীকার না করে, মারাঠা স্বরাজের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। দিল্লিতে তখন ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব। সম্ভাজি সিংহাসনে বসেই বুরহানপুরে মুঘলদের সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করে ধ্বংস করলে তৎকালীন মোঘলসম্রাট প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন পালটা আক্রমণ করে। বিপক্ষের প্রতিটি আক্রমণ রুখে দেন সম্ভাজি, তাঁর অনুগত সৈনিক এবং সেনাপতি হাম্বিররাওয়ের লড়াই কৌশলে। সম্ভাজির বীরত্ব নিয়ে তৈরি হওয়া এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই প্রচুর দর্শক টেনেছে। সম্ভাজির ভূমিকায় ভিকি কৌশলের অভিনয়ও প্রশংসিত।
সেই ছবি দেখে এসে এক্স হ্যান্ডেলে আকাশ লেখেন, 'দারুণ সাহসিকতা, স্বার্থত্যাগ এবং কর্তব্যের কাহিনি ছাবা। কিন্তু সত্যি আমার প্রশ্ন, স্কুলে কেন সম্ভাজি মহারাজকে নিয়ে একটা শব্দও পড়ানো হয়নি? মুঘল সম্রাট আকবর সুশাসক ছিলেন পড়েছি। এমনকি দিল্লির একটি প্রধান রাস্তার নামকরণও করা হয়ে ঔরঙ্গজেবের নামে। কিন্তু ইতিহাস বইতে সম্ভাজির নামের উল্লেখ পর্যন্ত নেই কেন?'
প্রাক্তন ক্রিকেটারের পোস্টে একাধিক কমেন্ট করেছেন নেটিজেনরা। আকাশকে তোপ দেগে এক ব্যক্তি লেখেন, 'ক্রিকেটার হিসাবে আপনি ব্যর্থ, ইতিহাসের ছাত্র হিসাবেও।' তাকে পালটা দিয়ে আকাশের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিকে ইতিহাসে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, ইতিহাস বইয়ে মুঘল এবং মারাঠা দুই সাম্রাজ্যের কথাই পড়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে উগ্র হিন্দুত্ব ছড়াতে চাইছেন আকাশ। প্রত্যেক নিন্দুককে আলাদা করে জবাব দিয়েছেন তিনি। নেটিজেনদের অনেককে অবশ্য পাশেও পেয়েছেন আকাশ।
