সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরিজিৎ সিং। বিশ্বজোড়া খ্যাতি যাঁর। যে বঙ্গসন্তানের দরজায় কড়া নাড়েন মার্টিন গ্যারিক্স, এড শিরানের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতনামাসম্পন্ন শিল্পীরা। এত বড়মাপের শিল্পী হয়েও নিজের শিকড় ভুলে যাননি যিনি, তাই তো তাঁর সঙ্গে দেখা করতে জিয়াগঞ্জে হাজির হন পশ্চিমী সঙ্গীতজগতের তাবড় শিল্পীরা। স্বাভাবিকভাবেই অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) পারিশ্রমিক দেশের আর পাঁচজন শিল্পীর তুলনায় অনেক বেশি। তবে এবার হিন্দি ভাষায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার জন্য তাঁর তরফে যে পারিশ্রমিক দাবি করা হয়েছে, তা শুনে কার্যত হতবাক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)।

সঙ্গীতজগতের অন্দরমহল সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের এক খ্যাতনামা সংস্থার তরফে রবীন্দ্রসঙ্গীতের একটি হিন্দি অ্যালবাম বের করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রবি ঠাকুরের গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়েছে বাঙালি শিল্পীদের। যে তালিকায় শ্রেয়া ঘোষাল, শান, বাবুল সুপ্রিয়র পাশাপাশি মধুমন্তী বাগচিও রয়েছেন। সেই অ্যালবামের জন্যই অরিজিৎ সিংয়ের একটি একক সঙ্গীত এবং আরেকটি দ্বৈত গান গওয়ার কথা ছিল। গান রেকর্ডের জন্যে মুম্বইয়ের সংস্থার তরফে অরিজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। প্রস্তাব যেতেই দিন দুয়েক বাদে অরিজিৎ সিংয়ের ম্যানেজারের তরফে নাকি জানানো হয়, গান প্রতি দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক চাই। যে অঙ্ক শুনে একপ্রকার বিস্মিত হয়ে যান বাবুল! সেপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখও খুলেছেন গায়ক তথা তৃণমূল নেতা।
বাবুল সুপ্রিয়র কথায়, "রবীন্দ্রসঙ্গীতের ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অরিজিৎকে খুব সাদামাটা বলেই জানি। সেরকমই জীবনযাপনে অভ্যস্ত ও। সেদিক থেকে বাঙালি হিসেবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার জন্য ওঁর দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক চাওয়া, আমার কাছে অনুচিত বলেই মনে হয়েছে। যখন আমরা সকলেই তুলনামূলক কম পারিশ্রমিকে কাজ করছি।" বাবুল জানালেন, মুম্বইয়ের সংস্থা পারিশ্রমিকের অঙ্ক শুনে অরিজিৎ সিংয়ের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি পুর্নবিবেচনা করার অনুরোধ জানান। রয়্যালটির প্রস্তাবও রাখেন। তবুও নাকি অরিজিৎ রাজি হননি। এদিকে বাবুল অরিজিতের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া এই অ্যালবাম ভাবতে পারছেন না!