গোবিন্দ রায়: 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' ছবির এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের। তার ফলে স্বস্তিতে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী, তাঁর স্ত্রী পল্লবী যোশী এবং অভিষক শর্মাদের। লেকটাউন থানায় পরিচালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী ১৯ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘ফাইলস’ ট্রিলজির তৃতীয় রাজনৈতিক থ্রিলার ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’। খবর আগেই ছিল যে ‘তাসখন্দ ফাইলস’, ‘কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির পর দিল্লির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছবি বানাতে চলেছেন পরিচালক। গতবছর অক্টোবর মাসে ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এনে বিবেক হইচই ফেলে দিয়েছিলেন, কারণ এই ছবির নাম ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’ হলেও সাবলাইনে উল্লিখিত ছিল ‘দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টারে’র কথা। অতঃপর বিবেকের এই সিনেমার সঙ্গে যে বাংলার একটা যোগ ছিলই, তা আগেভাগেই আঁচ করা গিয়েছিল। পরে ছবির নামই বদলে দেন।
লেকটাউনে এফআইআর দায়েরকারীর দাবি, ওই ছবিটির টিজারের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এই ছবি মুক্তি পেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের আশঙ্কাও করেন। প্রসঙ্গত, গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শত চেষ্টা করেও বাংলায় পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির! এখন পাখির চোখ ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। তার আগে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলারে বাংলায় সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরেছেন বিবেক। ছবিতে ‘গোপাল পাঠা’ ওরফে গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস। ট্রেলারে সেই ঝলক ইতিমধ্যেই মিলেছে।
ট্রেলারের শুরুতেই নেপথ্য কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, “আমি একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত, তাই হলফ করে বলতে পারি যে বাংলা আরেকটা কাশ্মীর হতে চলেছে…।” এক দৃশ্যে জ্বলন্ত দুর্গামূর্তিকেও দেখানো হয়েছে। ট্রেলার মুক্তির পরই ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবিটি ঘিরে অন্য ‘স্ট্র্যাটেজি’ দেখছে দর্শক, অনুরাগীরা। একাংশের প্রশ্ন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কি এমন ছবি তৈরি করেছেন, উঠছে সে প্রশ্ন।
