সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনি জটিলতা, বিতর্ককে সঙ্গী করেই ৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আলো দেখল 'ধুরন্ধর'। টিজার-ট্রেলার দেখেই দর্শকমহলের কৌতূহলের পারদ চড়েছিল। সেই উন্মাদনার টানেই অগ্রিম বুকিংয়েও রীতিমতো ঝড় উঠেছিল। যা দেখে সিনেবিশেষজ্ঞরাও বক্স অফিসের 'ঝকঝকে মার্কশিটে'র ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। শুক্রবার দেশজুড়ে পাঁচ হাজার স্ক্রিনে মুক্তি পেল 'ধুরন্ধর'। আর পয়লা দিনেই দর্শকমহলে সাড়া ফেলে দিল রণবীর সিংয়ের পারফরম্যান্স। পাশাপাশি ততোধিক চর্চা হচ্ছে অক্ষয় খান্না এবং আর মাধবনের অভিনয় নিয়েও।
অগ্রিম বুকিংয়ে চড়া দামে বিকিয়েছিল রণবীর সিংয়ের সিনেমার টিকিট। অতঃপর ওপেনিং ইনিংস যে মন্দ হবে না, সেটা আগেভাগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। শুক্রবার অর্ধেক বেলার হিসেব বলছে, 'ধুরন্ধর'-এর পয়লা দিনের ব্যবসা ২০ কোটির গণ্ডি পেরবে। যদিও এই বক্স অফিস নম্বর রণবীরের কেরিয়ারে কোনও অতিরিক্ত মাইলস্টোন যোগ করবে না, তবে উল্লেখ্য, বছর খানেক ধরে চলতে থাকা তাঁর মন্দা কেরিয়ারের মোড় ঘোরাল এই সিনেমা। পর্দায় হাইভোল্টেজ অ্যাকশন দেখে হল ফেরত দর্শকরাও পরিচালক আদিত্য ধর, রণবীর সিংদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁদের কথায়, 'ধুরন্ধর' আদ্যোপান্ত পয়সা উসুল ছবি। কেউ কেউ আবার 'বক্স অফিস সুনামি'র ভবিষ্যদ্বাণীও করে ফেললেন। তবে নির্মাতারা কিন্তু চমক পয়লা ছবিতেই শেষ করেননি। 'পিকচার অভি বাকি হ্যায়'! পয়লা সিনেমাতেই সিক্যুয়েলের ঘোষণা করলেন 'ধুরন্ধর' নির্মাতারা। ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে সিনেমার দ্বিতীয় ভাগ।
প্রসঙ্গত, কোভিডকাল থেকেই রণবীর সিংয়ের ফিল্মি কেরিয়ারে খানিক ভাঁটা পড়েছে বললে অত্যুক্তি হয় না! ‘৮৩’, ‘সার্কাস’, ‘জয়েশভাই জোয়ারদার’ কোনও ছবিই দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। তেইশে ‘রকি অউর রানি’ ভালো আয় করলেও ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’, ‘গদর ২’ কিংবা ‘অ্যানিম্যাল’-এর ব্যবসার ধারকাছেও ছিল না। চব্বিশ সালে রোহিত শেট্টির 'সিংহম এগেইন'-এর ডাকসাইটে কাস্টিংয়ে রণবীর সিং থাকলেও, মুখ্য চরিত্রে থাকা অজয় দেবগণ, করিনা কাপুরই সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন। এদিকে ‘ডন ৩’র কাজ নিয়ে কোনও তথ্য নেই! ভারতীয় সুপারহিরো ‘শক্তিমান’কে বড়পর্দায় তাঁর নিয়ে আসার পরিকল্পনাও বিশ বাঁও জলে। এমন আবহে 'ধুরন্ধুর'ই রণবীরের কেরিয়ারে তুরুপের তাস হিসেবে কাজ করল।
