সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছর থেকেই লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সলমন খান। নেপথ্যে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। যার জেরে ঘুম ছুটেছে ভাইজান ঘনিষ্ঠদের। কড়া নিরাপত্তাবলয় বেষ্টিত হয়ে সর্বত্র চলাফেরা করতে হয়। বলিউড সুপারস্টারের গতিবিধিও বর্তমানে মাপা। তাঁর জীবন এখন ঘুরপাক খায় শুধু বাড়ি আর শুটিং সেটের মধ্যে। তবে যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেই সলমনের কোনও হুঁশই নেই! তিনি রীতিমতো বেপরোয়া। 'সিকন্দর'-এর প্রচারে এসে এই প্রথমবার খুনের হুমকি নিয়ে মুখ খুললেন ভাইজান।

সালটা ১৯৯৮। সেই সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান সলমন খান। বলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। দু দশক আগের সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন (Salman Khan)। একাধিকবার বলিউডের ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ২০২৪ সাল থেকে সেই উপদ্রব আরও বেড়েছে বই কমেনি! মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো। বিদেশে সলমনের বন্ধু-গায়কের বাড়িতে হামলা, তার পর গতবছর অক্টোবর মাসে সলমন ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকির খুন! একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ভাইজানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। যার জেরে Y প্লাস ক্যাটাগরির পাশাপাশি সলমন খানের নিরাপত্তা বর্তমানে আরও জোরদার হয়েছে। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন ভাইজান। এমনকী নিজের বাংলোর গোটা বারান্দা মুড়ে ফেলেছেন বুলেট প্রুফ কাচে। কিন্তু সারাজীবন কি এভাবে প্রাণভয় বয়ে বেড়াতে হবে তাঁকে? অনুরাগীদের সেই কৌতূহল মেটাতেই এবার স্পষ্ট জবাব সলমনের।
সুপারস্টার 'সিকন্দর' জানিয়েছেন, "ভগবান, আল্লা সবাই উপরে রয়েছেন। ভাগ্যে যা বয়স লেখা আছে, ততদিনই বাঁচব। তবে কখনও কখনও এত লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়, যে সেটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যস এটুকুই।" প্রসঙ্গত, খুনের হুমকি পাওয়ার পর থেকে বাড়ি আর সিনেমার সেটের মধ্যেই তাঁর জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। খুব একটা ফটোশিকারিদের ক্যামেরার সামনেও খুব একটা ধরা দেন না তিনি, এমন অভিযোগও উঠেছে। সেকথা উল্লেখ করে ভাইজানের মন্তব্য, "সাংবাদিকদের দেখলে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হই না, বরং ওঁরা আশেপাশে না থাকলেই তখন কেমন যেন মনে হয়, আমার স্টাইলে ব্যাঘাত ঘটছে! এখন জীবনটা শুধুই গ্যালাক্সি (বাড়ি) আর শুটিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে আমার। বাড়ি থেকে শুটিং, আবার সেট থেকে বাড়ি। এই চলছে।"