সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক এবং কঙ্গনা রানাউত যেন একে-অপরের সমার্থক! বরাবর বেফাঁস মন্তব্য বা পোস্টের জেরে চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। সে বলিউডের ময়দান হোক কিংবা রাজনৈতিক ইস্যু, বিতর্কিত মন্তব্য করায় একাধিকবার সমালোচিত হতে হয়েছে 'ক্যুইন'কে! এবার 'মনরেগা' প্রকল্প থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম অপসারণ ইস্যুতে মুখ খুলে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন কঙ্গনা রানাউত।
'মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম', এযাবৎকাল সংক্ষেপে যা 'মনরেগা' বলে পরিচিত ছিল, এবার থেকে সেই প্রকল্পের নাম বদলে করা হল 'বিকশিত ভারত গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ) বিল ২০২৫'। চারদিন তুমুল বিতর্কের পর জানা যায়, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প 'মনরেগা' থেকে গান্ধীজিকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। স্বাভাবিকভাবেই 'পূজ্য বাপু'র নাম বাদ যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দলগুলি। তাঁদের দাবি, মোদি সরকারের এহেন বিল আখেড়ে জাতির জনক গান্ধীজির অপমান। একাংশ আবার প্রকল্পের নয়া নামকরণে 'রাম নাম' থাকায় আপত্তি তুলেছে। খবর, বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত সংসদে এই বিল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলেছে। এদিনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে যে মন্তব্য করলেন কঙ্গনা, তাতে হিমাচলের মাণ্ডির তারকা সাংসদকে নিয়ে বর্তমানে নিন্দার ঝড়!
বুধবার পার্লামেন্ট চত্বরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা মনরেগা প্রকল্প থেকে গান্ধীর নাম বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে কঙ্গনার অবস্থান জানতে চান। সেখানেই সাংসদ-নায়িকা ক্যামেরার সামনে সদর্পে বলেন, "রামজির নাম থাকায় গান্ধীজিকে কীভাবে অপমান করা হল এখানে? মহাত্মা গান্ধী তো সমগ্র দেশকে একসুতোয় বাঁধার জন্য 'রঘুপতি রাঘব রাজা রাম' গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত করেছিলেন। অতঃপর রাম নাম যোগ করে মোদি সরকার তো আখেড়ে গান্ধীজিরই স্বপ্নপূরণ করলেন।" কঙ্গনার এহেন মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটভুবনজুড়ে নিন্দার ঝড়! কেউ বা আবার হেসে খুন। কারও মন্তব্য, 'একজন সাংসদ হয়ে দেশের জাতীয় সঙ্গীত জানেন না।' কেউ বা আবার মাণ্ডির বাসিন্দাদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন এহেন 'জ্ঞানী সাংসদে'র জন্য। কেউ আবার ব্যঙ্গ করে কঙ্গনা রানাউতকে দেশের 'নতুন ইতিহাসবিদ' বলে তকমা সাঁটলেন। এককথায় সাংসদ কঙ্গনার মন্তব্য নিয়ে সোশাল পাড়ায় বিতর্কের ঝড়।
