সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মানুষের কাছে তিনি আজও 'মাদার'। গত ১৩ই ডিসেম্বর বোলপুরের শান্তিনিকেতনে 'পরশমণি' সামাজিক কেন্দ্রে আয়োজিত হল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিসমাস লেকচার। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেভারেন্ড ফাদার জন ফেলিক্স রাজ। তিনি মাদার টেরেসার জীবন ও কর্মের ওপর এক মনোজ্ঞ আলোকপাত করেন।
ফাদার জন ফেলিক্স রাজ তাঁর বক্তব্যে মাদারের জনসেবা এবং তাঁর নিজস্ব ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাদারের জীবন ছিল যেন বিশ্বের এক 'বন্দনা গীতি'। লরেটো সন্ন্যাসিনী থাকাকালীন মাদার আর্ত মানুষের সেবার জন্য যে বিশেষ অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন, ফাদার তাকে 'কল উইদিন আ কল' বা 'অন্তরের ডাক' হিসেবে বর্ণনা করেন। মাদারের দর্শন ছিল স্পষ্ট—শান্তি ও দয়া শুরু হয় নিজের ঘর থেকে। নীরবতা ও প্রার্থনা থেকেই সেবার জন্ম।
ফাদার জানান, মাদার তিলে তিলে মুমূর্ষু মানুষদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনকী রাজনৈতিক সংকটের সময়েও শিশুদের জীবন বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ভাষণে জ্যোতি বসু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পোপ দ্বিতীয় জন পল-এর সঙ্গে মাদারের সুসম্পর্কের কথা উঠে আসে।
ফাদার বলেন, মাদারকে ঘিরে সমালোচনা থাকলেও তাঁর কাজ থেমে নেই। আজ মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদস্য সংখ্যা ৫,৭৫০ জন। ফাদার মাদার টেরেসাকে বাংলার 'মা দুর্গা'র সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর মতে, মাদার কেবল একজন সন্ন্যাসিনী নন, তিনি আমাদের সবার জন্য একাধারে দেবী এবং স্নেহময়ী মা। এই লেকচারটি উপস্থিত শিক্ষক ও গবেষকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
