সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তাল সময়। একদিকে আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ, অন্যদিকে টলিউডে যৌন হেনস্তার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এক টলি নায়িকার অভিযোগের ভিত্তিতে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে হেনস্তার অভিযোগ এক উঠতি অভিনেত্রীর। অভিযোগ উড়িয়ে পালটা জবাব দিলেন অভিনেতা। অভিনেত্রীর পোস্টের নিচেই শেয়ার করলেন স্ক্রিনশট।
"জয়জিৎ...সবাই চেনে...মেসেজ করে লিখে সাইজ কত জানতে চায়", 'ধিক্কার', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস রাইট নাও', 'আর্টিস্ট' হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে এই কথা লেখেন অভিযোগকারিণী। তাঁর এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন জানতে চান, এই জয়জিৎ কি অভিনেতা? তাতে 'হ্যাঁ' লিখে সায়ও দেন। এই কমেন্টবক্সেই আবার একজন স্ক্রিনশটের দাবি জানান। তাতেই জয়জিৎ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মেসেজ বক্সের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যেখানে অভিনেত্রী তাঁকে, 'হ্যালো' লিখে পাঠিয়েছেন। আর কোনও কথোপকথন নেই।
ডানদিকে অভিনেত্রীর অভিযোগ। বামদিকে জয়জিতের দেওয়া স্ক্রিনশট।
[আরও পড়ুন: মা হলেন দীপিকা, রণবীরের সংসারে এল নতুন সদস্য]
অভিনেত্রীর অভিযোগ নিয়ে জয়জিৎকে প্রশ্ন করা হলে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি পালটা প্রশ্ন করেন, "সে (অভিযোগকারিণী) কি এখন মেসেজ বক্সে সমস্ত কিছু বানানোর জন্য অপেক্ষা করছে?" এর পরই অভিনেতা বলেন, "আমি তো যখন জানতে পেরেছি, সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট দিয়েছি। এখন কি পুরোটা বানাবে? বানিয়ে ফেক একটা কিছু দেবে? কী লাভ? যাকগে, যেটা দেবে দিক। আমার যদি মনে হয় আইনি পথে কিছু করা যায়, করা হবে। দেখা যাক কী দিচ্ছে। আমি তো আমার স্ক্রিনশট প্রথমেই দিয়ে দিয়েছি।"
এমন উত্তাল সময়ে চারদিকে যখন নারীর অধিকারের লড়াই। সেই সময় এমন অভিযোগ নিয়ে কী বলবেন? জয়জিতের জবাব, "আমি তো নিয়মিত প্রতিবাদ করছি। প্রতিবাদী হলে তো এগুলো সইতেই হবে। তৈরি আছি। সে অভিযোগ করেছে। চ্যাটের স্ক্রিন দিয়ে দিয়েছি। সে তো আমার বন্ধুর তালিকাতেও পড়ে না এবং সে গত ১২ ঘণ্টায় কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। আর কী বলব? একটু হয়তো আলোচনায় থাকতে চাইছে কিংবা আমি যেহেতু এত প্রতিবাদ করছি সেটা থামানো এটা একটা চেষ্টা হতে পারে।"
এদিকে জয়জিতের স্ক্রিনশট দেওয়ার পরই অভিযোগকারিণীকে প্রমাণ দিতে বলেন নেটিজেনদের একাংশ। সেই কথা উল্লেখ করে আবার অভিনেত্রী লেখেন, "সকলে আমায় ইনবক্সে জানতে চাইছেন স্ক্রিনশট দেব কি না। কেউ কেউ নেগেটিভ কথা বলছেন। তাঁরা সকলেই পুরুষ। তাই সকলকে বলছি, মানুষকে তার ভুলটা ধরিয়ে দিতে হয়। পরেরবার ভুল করলে শাস্তি। তাই এইবারটা আমি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছি কি না সেটা বলা মুশকিল। আশা করি আপনারা বুঝবেন। বহুদিনের অভ্যাস। একটা মানুষ হঠাৎ করে অন্য জনকে খারাপ কথা বলে। একদিনের এটা বিষয় না।"
