সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর চারেক আগেই আলাদা হয়েছে আমির খান, কিরণ রাওয়ের পথ। এর মাঝে 'মিস্টার পারফেকশনিস্টে'র জীবনে উঁকি দিয়েছে নতুন প্রেম। জীবনের নতুন নায়িকা গৌরী স্প্র্যাটকে আমির যেন চোখে হারান! বর্তমানে সর্বত্রই আমির-গৌরীকে একসঙ্গে দেখা যায়। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার পর বলিউড সুপারস্টার 'মুভ অন' করলেও প্রাক্তন কিরণ রাও কি তা পারেননি? 'লাপাতা লেডিজ' পরিচালক হাসপাতালের নথিপত্র ফাঁস করতেই উঠল সেই প্রশ্ন।
সদ্য 'স্যর এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন' হাসপাতালে অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার হয়েছে কিরণ রাওয়ের। সোশাল মিডিয়ায় সেখবর ভাগ করে নিতে গিয়েই হাসপাতালে তোলা একাধিক ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন পরিচালক। সেখানেই দেখা গেল, অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালে কীভাবে দিন কাটছে তাঁর। কোনও ফ্রেমে হাসপাতালের ঘরের ঝলক দেখিয়েছেন, কোনওটায় স্যালাইন হাতে সেলফি তুলেছেন। আবার কোনওটায় চিকিৎসকদের পরামর্শমাফিক মধ্যাহ্নভোজ সারতে দেখা যায় তাঁকে। তবে সেই হাসপাতালের কোলাজ থেকেই বর্তমানে একটি ছবি নেটভুবনে মারাত্মক চর্চার শিরোনামে। যেখানে দেখা গেল, রোগী হিসেবে কিরণ রাওয়ের হাতে যে নথিপত্রের ট্যাগ বাঁধা রয়েছে, তাতে জ্বলজ্বল করছে আমির খানের নাম-পদবী। লেখা- 'কিরণ আমির রাও খান।' উল্লেখ্য, বৈবাহিক সম্পর্কে থাকাকালীন এই পরিচয়ই ব্যবহার করতেন পরিচালক কিরণ। কিন্তু ২০২১ সালে বিচ্ছেদ ঘোষণা করার পরও কেন প্রাক্তন স্বামীর পরিচয় আঁকড়ে রেখেছেন? সেই প্রশ্নই উঠেছে।
যদিও কিরণ নিরুত্তর। তবে নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানাতে ভোলেননি তিনি। সোশাল মিডিয়া পোস্টে পরিচালকের উল্লেখ, "২০২৬ সাল উদযাপনের জন্য আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমার অ্যাপেন্ডিক্স আমাকে মনে করিয়ে দিল, এবার একটু ধীরে-সুস্থে চলা প্রয়োজন। সত্যিই এখনকার চিকিৎসাপদ্ধতির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কীভাবে আমার শরীর থেকে পুরো ১২ মিমি ব্যাসের একটি অ্যাপেন্ডিক্স বের করা হল, আমি টেরই পেলাম না।" ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় কিরণ রাওয়ের ঠোঁট ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছিল। ছবিতে সেই দুর্দশাও তুলে ধরেছেন তিনি। পাশাপাশি যাঁরা এই ফোলা ঠোঁট নিয়ে ব্যঙ্গ করছিলেন, তাদেরও ছেড়ে কথা বলেননি কিরণ রাও! আলতো করেই খোঁচা দিয়ে বললেন, "ও হ্যাঁ, অ্যালার্জির জন্য আমার ফোলা ঠোঁট দেখে বন্ধুরা যারা খুব হাসাহাসি করছিল, দুর্ভাগ্যবশত সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছে।" 'লাপাতা লেডিজ' পরিচালকের সংযোজন, "ইতিমধ্যেই আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি বাড়ি ফিরেছি। এবার স্বচ্ছন্দে নতুন বছরে পা বাড়াতে পারব। ২০২৫ ভালোই কেটেছে। আশা করি ছাব্বিশ সাল আরও দয়ালু হবে, আমার প্রতি।"
আসলে সম্পর্কের বিচ্ছেদ সততই বিরহের। বিশেষত, সেই সম্পর্ক যদি প্রথমে প্রণয় এবং পরে পরিণয়ে পরিণত হয়, তাহলে বিচ্ছেদের পথে মনঃকষ্ট আরও দ্বিগুণ হয়। যা কিনা পরবর্তীতে তিক্ততায় গড়ায়। তবে আমির খান কিন্তু এই বিষয়ে একেবারে ব্যতিক্রমী। বিচ্ছেদের এত কাল বাদেও প্রাক্তন স্ত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। প্রথম স্ত্রী রিনা দত্ত হোক কিংবা দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাও দুই প্রাক্তনের ক্ষেত্রেই বন্ধুত্ব অটুট। এবার কিরণের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নথিপত্রে সুপারস্টারের নাম দেখে প্রশ্ন উঠল, তাহলে কি অফিশিয়ালি এখনও প্রাক্তন আমির খানের নাম-পদবীই ব্যবহার করেন কিরণ রাও?
