সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডে দেশাত্মবোধক সিনেমা হলেই বর্তমানে ডাক পড়ে অক্ষয় কুমারের। রগরগে অ্যাকশনের বাইরে গিয়ে এযাবৎকাল একাধিক দেশপ্রেমের গাথায় 'হিরো' হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন খিলাড়ি। 'মিশন মঙ্গল', 'কেশরী', 'স্কাই ফোর্স', 'এয়ারলিফ্ট', 'মিশন রানিগঞ্জ' থেকে শুরু করে ফিল্মি কেরিয়ারে একাধিক ছবিতে দেশের জয়গান গেয়েছেন অক্ষয়। সেই তালিকার নবতম সংযোজন 'কেশরী চ্যাপ্টার ২: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ জালিয়ানওয়ালাবাগ'। ঠিক যেন ষাট-সত্তরের দশকের ভারত কুমারের ছায়া তাঁর মধ্যে। মনোজ পরবর্তী অধ্যায়ে অক্ষয় (Akshay Kumar) যে নিষ্ঠার সঙ্গে পর্দায় দেশপ্রেম উসকে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন, তা বলাই বাহুল্য। আর ঠিক এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন মনোজ কুমার (Manoj Kumar)।
অতীতে এক সাক্ষাৎকারে প্রবীণ অভিনেতা খুব গর্ব করেই বলেছিলেন, "অক্ষয় কুমারই বলিউডে আমার যোগ্য উত্তরসূরি।" পর্দার পাশাপাশি বাস্তবেও খিলাড়ির দেশপ্রেম দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মনোজ বলেছিলেন, পর্দায় দেশপ্রেম ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে আমি সবসময় অক্ষয়কে আমার যোগ্য উত্তরসূরি বলে মনে করি। 'নমস্তে লন্ডন' ছবিতে যেরকম দক্ষতার সঙ্গে আমার 'হায় প্রীত জাহা কি রীত সাদা' দৃশ্যটির পুনর্নির্মাণ করেছিল ও, সেটা খুব ভালো লেগেছে আমার। একেই বলে একেবারে খাঁটি পারফরম্যান্স। অক্ষয়ের মতো কেউ 'সচ্চা' ভারতীয়, দেশপ্রেমিকের চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারে না।" শুক্রবার মনোজ কুমারের প্রয়াণের খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন বলিউড খিলাড়ি! এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা জ্ঞাপন করে তিনি লিখেছেন, "দেশপ্রেম এবং নিজের দেশকে নিয়ে গর্ব করার মতো আবেগ যে সবথেকে বড়, সেটা ওঁর ছবি দেখে শিখেই বড় হয়েছি। আর আমরা অভিনেতারা যদি দেশপ্রেমের আবেগ উসকে না দিই, তাহলে আর কারা দায়িত্ব এই নেবে? এত বড় মনের একজন মানুষ, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বড় সম্পদকে হারালাম। ভালো থাকবেন মনোজ স্যর।"
বক্স অফিসের উত্তর যাই হোক না কেন, মনোজ কুমার স্টাইলেই যে সিনেমার মাধ্যমে জনমত গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করেন অক্ষয়, তার প্রমাণ 'প্যাডম্যান', 'টয়লেট এক প্রেম কথা'র মতো ছবিগুলি। কেন দেশাত্মবোধক সিনেমায় অভিনয় করা এত উপভোগ করেন অক্ষয় কুমার? সম্প্রতি সেই উত্তরও দিয়েছেন তিনি। খিলাড়ির কথায়, "আমরা অনেকেই এরকম অনেক হলিউড সিনেমা দেখেছি, যেখানে গোটা বিশ্ব কখনও সন্ত্রাসবাদের জন্য সন্ত্রস্ত আবার কখনও এলিয়েনের কবলে আবার কখনও বা মহাজাগতিক কোনও কাণ্ড ঘটছে। এই সিনেমাগুলিতে প্রশ্ন একটাই- এই বিপদ থেকে রক্ষা করবে কে? আমেরিকা। তাই আমি ভাবি, আমেরিকাই যদি সব কাজ করে ফেলে, তাহলে ভারতের জন্য পড়ে থাকবেটা কী? আমরা তো জানি আমাদের ভারত কী করতে পারে?" সদ্য বৃহস্পতিবার 'কেশরী চ্যাপ্টার ২'-এর ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতের কাছে ব্রিটিশ সরকারের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলেছেন খিলাড়ি।