সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'সূর্যবংশম' ছবির সেই স্নিগ্ধ সুন্দরী সৌন্দর্যকে মনে নেই, এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া দায়! অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে নজর কেড়েছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী। মৃত্যুর ২২ বছর পরও দাক্ষিণাত্যভূমের বিনোদুনিয়াতে দারুণ জনপ্রিয় সৌন্দর্য। ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নায়িকার। যে খবরে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। তিনি কি কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার? দু দশক আগে সৌন্দর্যর (Soundarya Death) মৃত্যু নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। কারণ সেই বিমানেই ছিলেন তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডি। এবার বাইশ বছর বাদে দক্ষিণী সুন্দরীর মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তেলুগু সুপারস্টার মোহনবাবু।

জানা গিয়েছে, মোহনবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন জনৈক সমাজকর্মী। যিনি খাম্মাম জেলার সত্যনারায়ণপুরম গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি স্থানীয় থানায় পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, কন্নড় অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যুর নেপথ্যে মোহনবাবুর ষড়যন্ত্র রয়েছে। ২২ বছর আগের মৃত্যুরহস্য নিয়ে এবার তদন্ত হওয়া দরকার। অভিযোগনামায় ওই ব্যক্তি এও উল্লেখ করেছেন যে, মাঞ্চু মোহনবাবু তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। তাঁর প্রাণসংশয় রয়েছে। অতঃপর তাঁকে যেন পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। মোহনবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদনও জানিয়েছেন ওই সমাজকর্মী অভিযোগকারী। এখানেই সেই শেষ নয়! অভিযোগনামায় উল্লেখ রয়েছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযোগকারীর দাবি, বিমান দুর্ঘটনার আগে মোহনবাবু সৌন্দর্যকে তাঁর জালেপল্লীর ছয় একর জমির বিলাসবহুল গেস্ট হাউজ বিক্রি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। যা কিনা মানতে নারাজ ছিলেন অভিনেত্রীর ভাই। প্রসঙ্গত, মৃত্যুর সময়ে সৌন্দর্য অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেই বিমানে তাঁর ভাইও ছিলেন সঙ্গে। বেঙ্গালুরু থেকে এক রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথেই সব শেষ! বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁদের। যদিও সেই ঘটনার পর মারাত্মক কোনও প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। তবে এবার দু দশক বাদে কাঠগড়ায় মোহনবাবু।