সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কামানো মাথা। চোখে চশমা। দিন দুয়েক আগেই 'কিলবিল সোসাইটি'র ফার্স্টলুকে চমকে দিয়েছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এবার পয়লা ঝলক দেখলে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইতে বাধ্য! 'হেমলক সোসাইটি'র আনন্দ কর আর নেই। তিনি এখন মৃত্যুঞ্জয় কর। যে কিনা 'কিলবিল সোসাইটি' (Killbill Society teaser) পরিচালনা করেন। সময়,পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁর চরিত্রেও বদল এসেছে। পয়লা টিজারেই পরমব্রতকে নিয়ে কৌতূহলের পারদ চড়ালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এককথায় রোমহর্ষক।

কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আনন্দ কর বদলে গেলেন? সেই উত্তর ক্রমশ প্রকাশ্য কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় কর যে এবার মহাচমক দিতে চলেছেন, সেই আভাস পাওয়া গেল 'কিলবিল সোসাইটি'র টিজারে। নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে সে বলছে- 'আমি এখন অর্ডার মাফিক খুন করি।' তাহলে কি সৃজিতের 'কিলবিল সোসাইটি'তে ভাড়াটে খুনির চরিত্রে ধরা দেবেন পরমব্রত? তেমন ইঙ্গিতই মিলল ঝলকে। 'হেমলক সোসাইটি'র ১৩ বছর বাদে কেমন আছেন আনন্দ কর এবং তাঁর আশেপাশের মানুষেরা? সেই গল্প নিয়েই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) 'কিলবিল সোসাইটি' আসছে। ফার্স্টলুকের পর এবার টিজারেও চমক উপহার দিলেন পরিচালক। তবে এই ঝলকে কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে দেখা গেল না।
পূর্ণা আইচের ভূমিকায় একেবারে ডিগ্ল্যাম লুকে ধরা দেবেন কৌশানী মুখোপাধ্যায় এই ছবিতে। বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক মেয়ে। সমাজের মতামতের ধার ধারে না সে। নিন্দুক-সমালোচক, কাউকেই পরোয়া করে না পূর্ণা। যখন যা মন চেয়েছে, করেছে। সমাজের কাছে পূর্ণা দুঃসাহসী। লাগামছাড়া এক মেয়ে। কিন্তু পূর্ণার কাছে এটাই জীবন। কিন্তু জীবনের এক পর্যায়ে এসে ওলট পালট হয়ে যায় পূর্ণার জীবন। সেই নির্ভীক পূর্ণা হয়ে ওঠে ভিতু। কোন পরিস্থিতিতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তার? সে কি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে নাকি চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে? সৃজিতের 'কিলবিল সোসাইটি'তেই মিলবে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত। কারণ ১১ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তার প্রাক্কালে টিজার কৌতূহলের পারদ চড়াল।