সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেতা রাহুল বোসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। হিমাচল প্রদেশের রাজপরিবারের সদস্য দিব্যা কুমারীর দাবি, হিমাচল-সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের বাসিন্দা হিসেবে জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছেন অভিনেতা। শুধু তাই নয়, ভারতীয় রাগবি ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহারও করেছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০২৩ সালে। রাগবি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় সভাপতি হয়েছিলেন রাহুল। সেই সময় রাজপরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছিলেন রাহুল যে, তিনি হিমাচল প্রদেশের রাগবি অ্যাসোসিয়েশনকে সরকারি স্বীকৃতি দানের চেষ্টা করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি এবং এর ফলেই সকলকে হতাশ করে একপ্রকার বিরাগভাজন হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন সেখান থেকেই জ্বলে ওঠে। সিমলা রাজপরিবারের সদস্য দিব্যা কুমারীর তরফে এপ্রসঙ্গে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে যে, বহু সদস্যকে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছিল সমিতি। করা হয় শিলান্যাসও। কিন্তু সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলেও তা নিয়ে রাহুলের কোনও উদ্যোগ এযাবৎকাল দেখা যায়নি। স্বীকৃতি পায়নি সমিতি।
অন্যদিকে রাহুল নাকি হিমাচল প্রদেশেরই এক স্থানীয় বাসিন্দার ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জাল করে নিজেকে সেখানকার বাসিন্দা বলে নিজেকে উল্লেখ করেছেন। এই ভাবেই নাকি সেখানকার ভূমিপুত্র হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, একাধিক রাজ্যের বাসিন্দা হিসেবে প্রমাণ করতে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জাল করেছেন রাহুল। অভিযোগ তোলা হয়েছে হিমাচল প্রদেশের রাজপরিবারের সদস্য দিব্যা কুমারীর তরফে। তিনি এও প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেউ কীভাবে একসঙ্গে এতগুলো রাজ্যের বাসিন্দা হিসেবে প্রমাণ করতে এতগুলো জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারে? উল্লেখ্য, রাহুলের বিরুদ্ধে করা এই মামলার মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ ডিসেম্বর।
