সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেতা সইফ খালি খানের উপর হামলার ঘটনায় এখনও হাজারও প্রশ্নের জট। হামলাকারী এবং ধৃত আদৌ এক ব্যক্তি কিনা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 'ছোটে নবাবে'র উপর হামলার ঘটনায় একা শরিফুল নয়, আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী। ইতিমধ্যে খুকুমণি জাহাঙ্গির নামে এক মহিলার নাম সামনে এসেছে। শরিফুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঠিক কী, সইফের উপর হামলায় ঘটনা খুকুমণি কোনওভাবে যুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় পৌঁছেছে মুম্বই পুলিশ। নদিয়ার আন্দুলিয়ায় খুকুমণির খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
গত ১৬ জানুয়ারি, বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে ছুরিকাহত হন সইফ আলি খান। অস্ত্রোপচার করা হয় অভিনেতার। বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সইফ। সাধারণতন্ত্র দিবসে করিণার সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সইফের উপর হামলা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জট। এই ঘটনায় ধৃত শরিফুলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। রবিবার শোনা যায়, ঘটনাস্থলে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে শরিফুলের ফিঙ্গারপ্রিন্টের নাকি কোনও মিল নেই। সেক্ষেত্রে কেন শরিফুলকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরে যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়, এসব তথ্যের কোনও সারবত্তা নেই। ঘটনাস্থলে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট শরিফুলেরই। আপাতত ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে শরিফুলকে। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, সইফের উপর হামলার ঘটনায় শরিফুলের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত। সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে শরিফুলকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
এদিকে, আবার খুকুমণির পরিচয়ও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, শরিফুলের কাছে এমন কিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে যাতে স্পষ্ট সে বাংলাদেশের নাগরিক। শিলিগুড়ি সীমান্ত দিয়ে মাসছয়েক আগে বাংলায় অনুপ্রবেশ শরিফুলের। সেখানে খুকুমণির সঙ্গে পরিচয়। খুকুমণি নদিয়ার আন্দুলিয়ার বাসিন্দা। তার বাবা জাহাঙ্গির শেখ। শরিফুল যে সিমকার্ডটি ব্যবহার করত তা খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখের পরিচয়পত্র দিয়ে তোলা। শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি থেকে সিমকার্ডটি তোলা হয়। ওই সিমকার্ডের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সইফের উপর হামলা কাণ্ডে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই খুকুমণিই এখন তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। তার খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
