সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) আকছারই ঘটছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা। মৌলবাদীদের তাণ্ডবে সেদেশের মন্দিরগুলির অস্তিত্ব সংকটে। আর সব জেনেও কার্যত দর্শকের ভূমিকায় প্রশাসন। এহেন পরিস্থিতিতে এক ব্যতিক্রমী ছবি তুলে ধরলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। তাঁরই নির্দেশে আবারও ভক্ত সমাগমে মুখর হয়ে উঠল এক মন্দির।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ফের সংখ্যালঘু নির্যাতন, ভাইরাল মৌলবাদীদের হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ছবি]
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলায় শতাব্দীপ্রাচীন শ্রী সন্ত পরমহংসজি মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মৌলবাদীরা। মন্দিরের মূল্যবান সামগ্রীও লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ঘটনার সময় মন্দিরটির সংস্কার চলছিল। ভেঙে দেওয়া হয় মন্দিরের নতুন করে তৈরি করা অংশও। মারধর করা হয় সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীদেরও। সেই মামলা গড়ায় আদালতে। শুনানি শেষে প্রশাসনকে মন্দির তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গুলজার আহমেদ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে স্পষ্ট ভাষায় জানান, যারা মন্দির ভেঙেছে তাদেরই তা তৈরি করে দিতে হবে। এবার সেই মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে তা উদ্বোধন করেন বিচারপতি আহমেদ।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নতুন করে তৈরি মন্দিরে দীপাবলি উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন আহমেদ। মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি জানান, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সর্বদা সরব। ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। শুধু তাই নয়, সংবিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন পাকিস্তানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মতো হিন্দুদেরও সমান অধিকার রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাদিকাবাদ জেলার সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। লোহার রড, লাঠি, পাথর হাতে দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে চড়াও হয়েছিল ওই মন্দিরে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট (Pakistan Supreme Court)। চাপে পড়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পাশাপাশি মন্দিরটি দ্রুত মেরামতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)।