শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা। পুলিশ এবং ডাকাতদলের মধ্যে চলল গুলির লড়াই। গ্রেপ্তার চারজন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার প্রচুর বোমা। বাজেয়াপ্ত মোটরবাইক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জ থানার রামবাগান এলাকায় তুলকালাম। রাত কেটে গেলেও ঘটনার আকস্মিকতায় সোমবার সকালেও কাঁটা স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঠিক কী ঘটেছিল? রবিবার রাত রাত আটটার পরে রামবাগান এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুন্দর ভালোটিয়ার বাড়িতে একদল সশস্ত্র ডাকাত ঢুকে পড়ে। ব্যবসায়ীর আত্মীয় রাম ভালোটিয়া বলেন, “রাত আটটার পর ডাকাতরা ঢুকে পড়ে। তার মধ্যে চারজন মহিলাদের কাছে গিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তার মধ্যে এক জন মহিলা সরে গিয়ে এক প্রতিবেশীকে ফোন করেন। তারপর পুলিশ চলে আসে।”
[আরও পড়ুন: দাদার নজর এড়িয়ে হবু বউদির সঙ্গে প্রেম ও সহবাস, বিয়ের পরই শ্রীঘরে ভাই]
ব্যবসায়ীর প্রতিবেশী তা টের পান। পুলিশকে ফোন করেন। খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তমের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী রামবাগানে যায়। পুলিশকে দেখামাত্রই সশস্ত্র ডাকাতদল গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও পালটা গুলি চালানো শুরু করে। পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের গুলির লড়াই শুরু হয়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা বাড়ির বাইরে চলে আসেন। গুলি চালাতে চালাতে ডাকাতদল পালাতে শুরু করে।
ডাকাতদলের গুলিতে তিনজন জখম হন। তার মধ্যে একজন পুলিশ ও দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা স্থানীয় হাসপাাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় পুলিশ ৪জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। কমিশনার বলেন, “ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া একটি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে এক ব্যাগ বোমা ও বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র।” শিল্পাঞ্চলজুড়ে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। রানিগঞ্জ থেকে বাইরে বেরনোর সব রাস্তা সিল করে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনার পর গোটা রাত কেটে গেলেও এখনও থমথমে গোটা এলাকা। আতঙ্কে কাঁটা প্রায় সকলেই।