shono
Advertisement

সবুজ বিপ্লবে জোর দিয়েও দূষণ বাড়িয়ে কেন সুড়ঙ্গপথ তৈরি ব্রিটেনে? প্রশ্নের মুখে বরিস জনসন

টেমসের নিচ থেকে সুড়ঙ্গপথে যুক্ত হতে চলেছে কেন্ট ও এসেক্স।
Posted: 08:04 PM Dec 06, 2020Updated: 08:04 PM Dec 06, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবেশ রক্ষায় গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমিয়ে ‘সবুজ বিপ্লব’-এর পথে হেঁটেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। অথচ রাস্তাঘাটের যানজট কমাতে টেমসের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে দুই শহরকে সংযুক্ত করার কাজে অন্তত ৫০ লক্ষ টন কার্বন নিঃসরণ হতে চলেছে। প্রশাসনের লক্ষ্য এবং কাজে এত ফারাক থাকায় এখন নানা মহলে রীতিমতো মশকরার পাত্র হয়ে উঠেছেন বরিস জনসন।

Advertisement

সুড়ঙ্গপথে সংযুক্ত করা হবে কেন্ট এবং এসেক্সকে। ব্রিটেনে (UK) নতুন রাস্তা তৈরিতে এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটা নাকি সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক পরিকল্পনা। টেমস (Thames) নদীর নিচ দিয়ে তৈরি হবে এই পথ। সাধারণ রাস্তায় গাড়িঘোড়া চলাচলের জন্য তিন মিলিয়ন টনেরও বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমণ হয়। তবে টেমসের গর্ভে পথ তৈরির জন্য মাত্র ২ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণের (Carbon emission) হিসেব দিয়েছিলেন নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতি বুঝে জানানো হয়, অন্তত ৫ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসৃত হবে।

[আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব হবে রাম মন্দির, জমা পড়েছে প্রায় ৪৫০ নকশা!]

এই নতুন তথ্য পেয়ে পরিবেশবিদরা রীতিমতো খেপে উঠেছেন। প্রকল্প বন্ধ করার দাবি উঠেছে। অন্যদিকে, এত বড় সড়ক প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া সংস্থারও জোরদার দাবি, তাহলে কার্বন নিঃসরণ হয়, এমন সব প্রকল্পই সরকার বন্ধ করে দিক। আগামী শনিবার বরিস জনসন জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক আলোচনায় অংশ নেবেন। সেখানে কার্বন নিঃসরণ কমানোর পক্ষে জোরদার সওয়াল করেন। অথচ নিজের দেশে একাধিক সড়ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে সেই একই সমস্যার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। এ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: বর্ষশেষে মহাকাশে বিরল দৃশ্য, ৮০০ বছর পর কাছাকাছি আসছে বৃহস্পতি-শনি]

তাঁর সবুজ বিপ্লবের এক সমর্থকের কথায়, ”যদি জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে সত্যিই সদর্থক পদক্ষেপ নিতে চান প্রধানমন্ত্রী, তাহলে রাস্তা তৈরির জন্য কার্বন নিঃসরণের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গেলে একেবারেই হবে না।” পরিবেশ বাঁচানো এবং দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়কপথ তৈরি – দুটো পরস্পর বিরোধী কর্মসূচি বলে মনে করছেন তাঁরা। এই অবস্থায় ব্রিটেনের পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠার চেষ্টা রীতিমতো হাস্যস্পদ হয়ে উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement