সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার আকাশপথে হাওড়া ও হুগলির জল প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু জলমগ্ন হুগলির (Hooghly) খানাকুলের বহু জায়গা। যে কারণে হেলিকপ্টার অবতরণে দেখা দিয়েছে জটিলতা। আর তাই আপাতত খানাকুলে হেলিকপ্টার সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই খবর। তবে সড়কপথে উদয়নারায়ণপুর-সহ একাধিক এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন তিনি।
জানা গিয়েছে, খানাকুলের ঘোষপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য যে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল, সেই এলাকাতেও এখনও জল জমে রয়েছে। তার উপর বিভিন্ন জায়গায় এখনও বৃষ্টি হয়ে চলেছে। সেই কারণেই খানাকুল সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে গাড়িতে সড়কপথে উদয়নারায়ণপুর পর্যন্ত মমতা পৌঁছে যাবেন বলেই শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলার বন্যা পরিস্থিতি জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্র বাংলার পাশে আছে বলে আশ্বাস দেন মোদি। তবে মোদির কাছে সরাসরি অভিযোগ জানান মমতা। একে ম্যান মেড বন্যা বলে দাবি করেন। DVC জলাধারেরর পলি পরিষ্কার করা হয় না। পরিষ্কার থাকলে অতিরিক্ত জল ধরে রাখা সম্ভব হতমোদির কাছে সরাসরি অভিযোগ জানান মমতা। একে ম্যান মেড বন্যা বলে দাবি করেন। DVC জলাধারেরর পলি পরিষ্কার করে না। তাহলে বেশি জল ছাড়তে হত না। ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়বে বলে ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেই কারণেই প্লাবিত বহু এলাকা।
[আরও পড়ুন: আজ বৃষ্টিতে ফের ভিজছে Kolkata, রাজ্যের এই পাঁচ জেলায় ভারী বর্ষণের সতর্কতা]
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারের একটানা বৃষ্টিই ভেঙে দিয়েছিল বহু বছরের রেকর্ড। ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল প্লাবন। সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন জায়গায় এখনও জল জমে রয়েছে। সেখানে নিত্যদিনের কাজকর্ম করাই দুরূহ হয়ে উঠেছে। এখনও অনেকে ত্রাণশিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। জলের টানে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি-ঘর। এমনই এক বন্যাপ্লাবিত এলাকা খানাকুলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের সঙ্গেও কথা বলতেন তিনি। কিন্তু জল জমে থাকায় শেষমেশ সিদ্ধান্ত বদলাতে হল।
গত সোমবার বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) নিয়ে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গতদের যাতে ত্রাণের কোনও অভাব না হয়, তার ব্যবস্থা করতে মন্ত্রীদের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। যে সমস্ত জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য মৃতদের তালিকাও তৈরি করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন।