শুভঙ্কর বসু: নারদ মামলায় (Narada case) হলফনামা গ্রহণের জন্য ফের কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার তিনি এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ফের আবেদন জানান, যাতে উচ্চ আদালত ২৯ তারিখ শুনানির আগে তাঁদের হলফনামা গ্রহণ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এদিন আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী। তবে তার আগে তাঁদের হলফনামার কপি দিতে হয়েছে সিবিআইকে।
এর আগে গত ২৫ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টকে (Calcutta HC) নির্দেশ দিয়েছিল, নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে ২৮ তারিখের মধ্যে নতুন করে হলফনামা পেশ করেন উচ্চ আদালতে এবং তার আগে তার কপি সিবিআইকে (CBI) জমা দিতে হবে। সেইমতো সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মেনে ২৮ তারিখ সকালেই মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর তরফে হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়। ২৯ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে এই হলফনামা নতুন করে পেশ করতে চান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: লালকেল্লা থেকে উধাও নেতাজির টুপি! চন্দ্র বসুর অভিযোগের পর কী জানাল কেন্দ্র?]
গত মে মাসের ১৭ তারিখ নারদ মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই (CBI)। তারপরই নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।দপ্তরের বাইরে ভিড় এত বেড়ে যায় যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করে সেই ভিড় সামলাতে হয়। এই ঘটনাকে খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের অভিযোগ, জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে চাপ তৈরি করছে দল। সিবিআই আধিকারিকদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও পক্ষ করা হয়।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, বরাতজোরে বাঁচল অসমের নাবালক]
কিন্তু সময়ের মধ্যে হলফনামা পেশ করা হয়নি, এই যুক্তিতে তাঁদের হলফনামা উচ্চ আদালত খারিজ করে। সেই মামলায় গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও মলয় ঘটককে স্বস্তি দিয়ে হাই কোর্টকে হলফনামা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি তাঁদেরও নতুন করে হলফনামা জমা দিতে বলে।