shono
Advertisement

শরীরে রোগ প্রতিরোধক কোষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই কোভিডে মৃত্যু, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা

এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দি সেল’ পত্রিকায়। The post শরীরে রোগ প্রতিরোধক কোষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই কোভিডে মৃত্যু, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:27 AM Sep 19, 2020Updated: 12:01 PM Sep 19, 2020

গৌতম ব্রহ্ম: প্রহরীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। সেই সুযোগেই নোভেল করোনা ঢুকে পড়ছে শরীরে। মেলছে ডালপালা। কোভিড-মৃত্যুর (Death in COVID-19) কারণ খুঁজতে গিয়ে এমনই তথ্য সামনে আনলেন একদল গবেষক। তাঁদের মত, ”আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্কেস্ট্রার মতো। সমন্বয়ের অভাব হলেই তা ভুল সুরে বাজবে। ঘটবে ছন্দপতন। ইমিউন সিস্টেমে সমন্বয়ের অভাব বেশি বলেই কোভিডের ছোবলে বয়স্করা বেশি করে প্রাণ হারাচ্ছে।” এমনটাই জানাল আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিস অ্যান্ড ভ্যাকসিন রিসার্চ’-সহ একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘দি সেল’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, যার রিপোর্ট প্রকাশ করে বিশ্ববন্দিত সায়েন্স ম্যাগাজিন।

Advertisement

কেভিডের ছোবলে প্রাণ হারানো ২৪ রোগী, ২৬ জন আক্রান্ত ও ৬৫ জন সাধারণ মানুষকে নিয়ে গবেষণা চলেছে। বয়ঃসীমা ২০ থেকে ৮৪ বছরের মধ্যে। দেখা গিয়েছে, বয়স্কদের ক্ষেত্রে টি লিম্ফোসাইটের সমন্বয়ের অভাব (Co-ordinantion Problem) হলেই বিপদ ঘনিয়েছে। অল্পবয়সিরা বেঁচে যাচ্ছে যথাযথ সমন্বয় থাকার জন্য। আসলে মানুষের শরীরে মজুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দু’টি অংশ। ইনেট ইমিউনিটি ও অ্যাডাপটিভ ইমিউনিটি। এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয়টাই সুস্থ হওয়ার চাবিকাঠি। সময় মতো ইনেট ইমিউটি বার্তা দিলে সমস্যা হয় না। এই দু’ধরনের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাই ভাল হতে হবে। ইনেট ইমিউন রেসপন্সের জন্য দায়ী কিছু সেল রয়েছে। সেন্টিনেল সেল, ম্যাক্রোভাজ, ডেনড্রায়েটিক সেল, ন্যাচারাল কিলার সেল, মনোসাইট। এরা প্রথম স্তরের রক্ষাকর্তা। এরা সিগন্যাল পাঠায় অ্যাডাপ্টিভ ইমিউনিটেকে।

[আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসকে খতম করতে দারুণ কার্যকরী অতিবেগুনি রশ্মি, দাবি গবেষকদের]

এই অ্যাডাপ্টিভের আবার তিনটি স্তম্ভ। অ্যান্টিবডি, সাইটোটক্সিক টি লিম্ফোসাইট আর হেল্পার টি লিম্ফোসাইট। শরীরে ঢোকার পর ভাইরাসকে প্রথম আটকায় অ্যান্টিবডি। অ্যান্টিবডিকে বোকা বানিয়ে পাশ কাটিয়ে বা হারিয়ে দিয়ে যদি ভাইরাস কোষে ঢুকে পড়ে, তাহলে তাকে মারতে উদ্যোগী হয় বাকি দু’জন। সাইটোকাইন উৎপাদনের মাধ্যমে সমন্বয়ের কাজ করে টি হেল্পার সেল। ভাইরোলজস্টিদের পর্যবেক্ষণ, বয়স্কদের ক্ষেত্রে তরুণ কোষের সংখ্যা কম। ভাইরাসের সঙ্গে দ্বৈরথে সেগুলির ম্যাচিওরড সেলে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম। তার জেরেই টি হেল্পার সেল ও টি লিম্ফোসাইটের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা হয়।

[আরও পড়ুন: হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হলেও নেই মুক্তি, প্রতি ঋতুতেই আসবে করোনা, দাবি গবেষণায়]

অনেক সময় ইনেট ইমিউন রেসপন্সের অতি সক্রিয়তাও বিপদ ডেকে আনে। প্রহরী কোষ বেশি কাজ করলে বা লাফালাফি করলে টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাকটর-আলফা, আইএল৬’এর মতো বেশি সাইটোকাইন নিঃসরণ হয়। সেক্ষেত্রে শুরু হবে সাইটোকাইন স্টর্ম। যার পরিণতি ফুসফুসের তীব্র প্রদাহ এবং শেষ মাল্টি অর্গান ফেলিওর। এমনটাই জানালেন ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার। তাঁর পর্যবেক্ষণ, কোভিডযুদ্ধে টি লিম্ফোসাইটের ভূমিকা খুব বেশি। ভ্যাকসিন তৈরির সময় মাথায় রাখতে হবে, তা যেন টি সেলকে যথেষ্ট উদ্দীপ্ত করতে পারে।

The post শরীরে রোগ প্রতিরোধক কোষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই কোভিডে মৃত্যু, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement