সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারী (Pandemic) বদলে দিয়েছে সব কিছু। সংক্রমণের ধাক্কায় কেবল ছোট সংস্থাগুলিই নয়, ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বহু বড় সংস্থাকেও। এবার সেই তালিকায় সফট ড্রিঙ্কস জায়ান্ট কোকা-কোলা (Coca-Cola)। গত বছরের তুলনায় আয় কমেছে অনেকটাই। তাই পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাঁদের ২,২০০ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
স্টেডিয়াম থেকে রেস্তোঁরা কিংবা সিনেমা হল-সব জায়গাতেই তুমুল বিক্রি কোকের। সেটাই বড় ধাক্কা খেয়ে গিয়েছে লকডাউনের সময় থেকে। পরে লকডাউন উঠলেও কোভিড বিধির রক্তচক্ষুতে এখনও ভিড় বাড়েনি এই সব জায়গায়। ফলে মার খেয়েছে ব্যবসা। বর্তমান অর্থবর্ষের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক হিসেবে তাদের ক্ষতি ৯ শতাংশ। তাই এবার কর্মী সঙ্কোচনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত। সংস্থার আশা, এর ফলে বছরে তাদের ৩৫ কোটি থেকে ৫৫ কোটি ডলার বেঁচে যাবে। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন আমেরিকার কর্মীরা। সেদেশের ১,২০০ জন কর্মী কাজ হারাতে চলেছেন। তবে কোকের বটলিং প্ল্যান্টের শ্রমিকদের মধ্যে কাউকে ছাঁটাই করা হচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে এই ধরনের কাজের জন্য কয়েক লক্ষ কর্মী রয়েছে তাদের।
[আরও পড়ুন: ‘সাদা বাড়ি’ থেকে ট্রাম্পের বিদায়বেলায় ক্ষমা প্রার্থনার বন্যা, তালিকায় ঘনিষ্ঠরাও]
কেবল কর্মী ছাঁটাই নয়, তাদের ৪৩০টি ব্র্যান্ড পণ্যের মধ্যে ২০০টিই বন্ধ করে দিচ্ছে কোকা-কোলা। যার মধ্যে অন্যতম ট্যাব, জিকো কোকোনাট ওয়াটার, ডায়েট কোকো ফিয়েস্তি চেরি কিংবা অডওয়ালা জুসের মতো ব্র্যান্ড। যে ব্র্যান্ডগুলি বেশি জনপ্রিয় এবং যাদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, তাদেরই উপরে আপাতত ফোকাস রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও করোনার ধাক্কাতেই এই পরিবর্তনগুলির সিদ্ধান্ত, তা মানছে না কোকা-কোলা। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘‘অতিমারীর কারণে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে না। তবে এই সিদ্ধান্তগুলি দ্রুত নেওয়ার পিছনে তা নিঃসন্দেহে ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করেছে।’’