মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে পড়ে মৃত্যু হলো এক কলেজ ছাত্রীর। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখার দেউলটি (Deulti) স্টেশনে। মৃত ছাত্রীর নাম শ্রাবন্তী ঘোষ। তার বাড়ি বাগনান থানার শরৎ পঞ্চায়েতের মেল্লক এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃতা ছাত্রী বারাসাতের একটি বেসরকারি কলেজে অ্যানিমেশনের উপর পড়াশোনা করছিলেন। গতকাল রাতে করলেন ধরে বাড়ি ফিরছিল। ট্রেনটি ছিল গ্যালপিং। তার নামার কথা ছিল দেউলটি স্টেশনে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে গ্যালপিং ট্রেনটি বাগনান স্টেশনের পর দেউলটিতে দাঁড়ায় না। সেটি দাঁড়ায় মেচেদা স্টেশনে। স্বাভাবিকভাবেই দেউলটিতে না দাঁড়ানোয় শ্রাবন্তী ট্রেন থেকে নামার জন্য ঝাঁপ দেয়। স্টেশনে পড়ে যায় সে।
[আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা ফের তৃণমূলের, নির্দল পুরপ্রধান-সহ কংগ্রেসের ৪ কাউন্সিলর শাসকদলে]
গুরুতর যখম অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকদের। আসে রেল পুলিশও। সকলে মিলে তাকে কলকাতার মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে ভর্তি ছিল। বুধবার সকালে ছাত্রীটি মারা যায়। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়।
শরৎ পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল সদস্য তরুণ দাস বলেন, “শ্রাবন্তী বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। পড়াশোনাতেও খুবই ভালো ছিল। এই বছরেই সে অ্যানিমেশন নিয়ে পড়াশোনার জন্য বারাসাতের একটি বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিল। প্রত্যেকদিন বাড়ি থেকে যাতায়াত করত। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সে কলেজ থেকে ফিরছিল। কিন্তু ও নতুন তাই জানতো না গ্যালপিং করলেন দেউলটিতে দাঁড়ায় না। ফলে সে ট্রেন থেকে নামার জন্য ঝাঁপ দেয়। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।” তরুণ বাবুর আরো দাবি, রেল কর্তৃপক্ষের উচিত কোন ট্রেন কোথায় দাঁড়াবে সেটা ট্রেনের মধ্যে ঘোষণা করা। যদি সেটা হত তাহলে এই অঘটন ঘটত না।