কলম্বিয়া – ০ চিলি – ২ (আরাঙ্গুয়েজ, ফুয়েনজালিদা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী সোমবার শতবর্ষের কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কে হবে? সেটা দেখার জন্যই বৃহস্পতিবার ভোরে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা৷ ফল যা মিলল তাতে মেসি সমর্থকরা খানিকটা চাপেই থাকলেন৷ কারণ গত বছর ফাইনালে এই চিলির কাছেই পরাস্ত হয়ে ট্রফি হাতছাড়া করেছিলেন মেসিরা৷ কোপার শিরোপা পাওয়ার পথে ফের সেই চিলির প্রাচীরই টপকাতে হবে মেসি অ্যান্ড কোম্পানিকে৷ অর্থাৎ বছর ঘুরতেই ফের একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী হতে চলেছে ফুটবল বিশ্ব৷
গত ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ঠিক যেখানে শেষ করেছিল, এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা৷ ৭-০ জয়ের আত্মবিশ্বাসটা শুধু ফুটবলারদের চোখে-মুখে নয়, খেলার মধ্যেও ফুটে উঠল৷ হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালে শুরু থেকেই কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে দাপিয়ে বেড়ালেন স্যাঞ্চেজ, হার্নান্ডেজরা৷ ১১ মিনিটের মধ্যে দু’বার কলম্বিয়ার জালে বল ঢুকল৷ প্রথমে ফুয়েনজালিদার বাড়ানো ক্রস বিপক্ষের কুয়াড্র্যাডোরের কাছে পৌঁছয়৷ ভুলবশত ডেনজার জোনেই হেডারে বল পাঠিয়ে দেন তিনি৷ এমন উপহার কেউ সহজে হাতছাড়া করে? আরাঙ্গুয়েজও করেননি৷ চার মিনিট পরই স্যাঞ্চেজের গোলমুখি শট আটকে দেন কলম্বিয়ার গোলকিপার৷ কিন্তু ক্লিয়ার করতে পারেননি৷ ফলে ফিরতি বলে শট নিয়ে দলকে ফের এগিয়ে দেন ফুয়েনজালিদা৷ দ্বিতীয়ার্ধে ডিফেন্সিভ খেলতে দেখা কলম্বিয়াকে৷ ফলে স্কোর বোর্ডে গোল সংখ্যা আর না বাড়ল না৷ ঘুরে দাঁড়াতে পারল না কলম্বিয়াও৷ দুরন্ত ফর্মে থাকা চিলির বিরুদ্ধে ১০ জন মিলে ম্যাচে ফেরাও অবশ্য কঠিন ছিল কলম্বিয়ার কাছে৷ কারণ ৫৭ মিনিটে দু’টো হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কার্লোস স্যাঞ্চেজ৷ যদিও কোচ পেকারম্যানের দাবি, রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড না দেখালেও পারতেন৷
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বিরতির পর এদিন ঘণ্টা দুয়েক ম্যাচ বন্ধ থাকে৷ তাই খেলা শেষ হতে অনেকটাই দেরি হয়৷ লাতিন আমেরিকা জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে৷ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না নয়া ইতিহাস! শতবর্ষের কোপার কি নীল-সাদা হবে? নাকি এবারও বাজিমাত করে যাবেন পিজ্জির ছেলেরাই!
The post শতবর্ষের কোপাতেও মেসিদের প্রতিপক্ষ সেই চিলি appeared first on Sangbad Pratidin.