সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিচা ঘোষেরও বহুদিন আগে ক্রিকেটে বিশ্বজয়ী হয়েছেন এই বঙ্গকন্যা। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন শতাধিক ম্যাচ। এবার ইংল্যান্ডের পঞ্চম সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন 'বাঙালি' ইশা গুহ। সোমবার তাঁকে 'মেম্বার অফ মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার' সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজা তৃতীয় চার্লসের দপ্তর।
ইংল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার ইশার জন্ম বাকিংহামশায়ারে। তাঁর বাবা বরুণ গুহ এবং মা রোমা দেব ১৯৭০ সালে কলকাতা থেকে ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন। তার ১৫ বছর পর জন্ম হয় ইশার। দাদার সঙ্গে বাড়ির উঠোনে খেলতে খেলতে ক্রিকেটে তাঁর হাতেখড়ি। ১৩ বছর বয়স থেকেই ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে জায়গা করে নেন ইশা। মাত্র ১৭ বছর বয়সে টেস্ট ক্যাপ ওঠে ইশার মাথায়। 'পিতৃভূমি' ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মহিলা হিসাবে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলার নজির গড়েছিলেন ইশা।
২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন এই 'বাঙালি' কন্যা। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে জেতেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০০৮ সালে মহিলা বোলারদের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসেন। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ৮টি টেস্ট, ৮৩টি ওয়ানডে এবং ২২টি টি-২০ খেলেছেন ইশা। অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসাবেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতেও ভূমিকা নিয়েছেন ইশা। শুরু করেছেন নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'টেক হার লিড'।
মহিলাদের ক্রিকেট এবং নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেই ব্রিটেনের রাজসম্মান পাচ্ছেন ইশা। ইসিবির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 'দু'বারের বিশ্বকাপজয়ী ইশা গুহকে মেম্বার অফ মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার সম্মান দেওয়া হচ্ছে, ক্রিকেট এবং সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদানের জন্য। ক্রিকেটে মহিলাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।' ইশা ছাড়াও ইসিবির আরও দুই প্রাক্তন কর্তাকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
