সুমন করাতি, হুগলি: সরযূ নদীর তীরে রাজসূয় যজ্ঞ। দীপাবলি উপলক্ষে ঝলমলিয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার রামমন্দির চত্বর। সেই আলোর মালার সঙ্গে রয়েছে বাংলার যোগ। দীপাবলির প্রাক্কালে হুগলির চন্দননগরের আলোতে ঝলমল করছে অযোধ্যা নগরী। বাংলার শিল্পীদের হাত ধরেই সেজে উঠছে রামমন্দির চত্বর। মন্দিরের সামনের ১০ কিলোমিটার রাস্তা সাজানো হয়েছে আলোর মালায়।
রামমন্দির সাজানোর দায়িত্ব পড়েছে হুগলির আলোকশিল্পী মনোজ সাহার কাঁধে। চন্দননগরের সাহা ইলেকট্রনিক্স অযোধ্যা নগরী সাজানোর বরাত পেয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়, গত ৭-৮ বছর ধরে এই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অযোধ্যা নগরীর ১০ কিলোমিটার রাস্তা সেজে ওঠে তাঁর তৈরি আলোর গেট, টুনি লাইট, এলইডি আলোয়। এবার এলইডি বোর্ডে বানানো হয়েছে রামমন্দিরের প্রতিমূর্তি। এই আলোর মেলা থাকে দুদিন। ধনতেরাস এবং দীপাবলির সন্ধেয়। তার পরই ফিরে আসে বাংলায়। কারণ, দিন সাতেক পরই যে হুগলিতে জগদ্ধাত্রী পুজো। তখন তো ‘আলোকের ঝরনা ধারা’য় সাজবে চন্দননগর।
[আরও পড়ুন: রঙ্গলীলার ভিডিও প্রকাশ করব! নাম না করে অমিতাভ চক্রবর্তীর কেচ্ছা ফাঁসের হুঁশিয়ারি অনুপমের]
সাহা ইলেকট্রিকের কর্ণধার মনোজ সাহা জানান, ধনতেরাসের মাত্র সাতদিন আগে টেন্ডার খুলেছিল। টেন্ডার পায় চন্দননগরের সাহা ইলেকট্রনিক্স। রাতারাতি সমস্ত আলো, ৭০-৭৫ জন শ্রমিক নিয়ে রওনা দেয় অযোধ্যায়। অযোধ্যা ছাড়াও সুদূর চিত্রকূটও সাজছে চন্দননগরের আলোয়। নদীর ধার, রাস্তা, নির্মীয়মাণ মন্দিরের আশেপাশের জায়গা সাজানো হয়েছে তাঁদেরই হাতের কাজে।