সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রনের কম বিপজ্জনক, এবং উন্নত দেশগুলিতে টিকাকরণের হার বেশি। এই দুই ফ্যাক্টরের যুগলবন্দিতে করোনাকে আর আগের মতো বিপজ্জনক মনে হচ্ছে না। তাতেই অনেকের ধারণা তৈরি হয়েছে, এই মহামারী শেষের দিকে। কিন্তু এই ধারণা একেবারে ভুল। করোনার আরও বিপজ্জনক এবং আরও সংক্রমক স্ট্রেনের আগমনের জন্য এটাই আদর্শ সময়। ফের বিশ্ববাসীকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) শুক্রবার এক লাইভ সেশনে বলেন,”এটা করোনার আরও বিপজ্জনক এবং সংক্রমক ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার জন্য আদর্শ সময়। আজ থেকে দু’বছর আগে আমরা যখন করোনা নিয়ে প্রথম আলোচনা করছিলাম, তখন হয়তো অনেকে ভাবতেই পারেনি আজ আমরা এই মহামারীর তৃতীয় বছরে পা দেব। কিন্তু আজ তৃতীয় বছরে পা দিয়েও বলতে হচ্ছে এই মহামারীর নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের আগমনের জন্য এটাই আদর্শ সময়।”
[আরও পড়ুন: দাউদের হিট লিস্টে রাজনীতিবিদ থেকে শিল্পপতি, ‘ডি-কোম্পানি’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য এনআইএ-র]
প্রসঙ্গত, কোভিড অতিমারী যে এখনই শেষ হচ্ছে না এবং এর আরও নয়া রূপ আসতে যে পারে, সেকথা বারবারই বলছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন (Dr Soumya Swaminathan)দিন কয়েক আগেই বলছিলেন, ‘‘আমরা করোনাভাইরাসকে বিবর্তিত হতে দেখেছি, পরিবর্তিতও হতে দেখেছি। তাই আমরা জানি, এই ভাইরাসের আরও রূপ থাকবে। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো রূপও থাকবে। তাই আমরা এখনও অতিমারীর শেষে আসিনি।’’ WHO’র বক্তব্য, আপাতত বিশ্ব থেকে অতিমারী বিদায়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং কোভিড-১৯-এর আরও নতুন স্ট্রেনের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে। যা ওমিক্রনের থেকে আরও বেশি ভয়ংকর। ২০২০ সালে ডেল্টা (Delta Varient) ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভয়ংকর’ আখ্যা দিয়েছিল WHO। কারণ এটি আলফা প্রজাতির থেকে ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এরপর গত বছর মাথাচাড়া দেয় ওমিক্রন। যা আরও দ্রুত হারে ছড়াতে থাকে। এবার আরও ভয়াবহ প্রজাতির আবির্ভাবের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করে রাখছে WHO।
[আরও পড়ুন: হিজাবের মতো এবার কপালে তিলক কেটেও ঢুকতে মানা কর্ণাটকের কলেজে, তুঙ্গে বিতর্ক]
তবে, সব নিরাশার কথা বলছেন না WHO প্রধান। তাঁর বক্তব্য, এই মহামারী শেষ হওয়াটা আমাদের উপরই নির্ভর করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের বক্তব্য, আরও কঠোরভাবে আমাদের বিধি মানতে হবে। আফ্রিকার ৮৩ শতাংশ মানুষ এখনও করোনা টিকার একটি ডোজও পায়নি। তাদের টিকাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য উন্নত দেশগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।