নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তাওয়াংয়ে (Tawang) চিনের (China) রক্তচক্ষুতে উদ্বিগ্ন দেশ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রাস্তা নিল কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। বুধবার ১২টি বিরোধী দলের সাংসদদের দেখা গেল সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাতে। তবে এই বিক্ষোভে শামিল হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এদিকে এদিন লোকসভার ভিতরেও একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে ১২টা পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি রাখার নির্দেশ দেন স্পিকার।
এদিন কংগ্রেসের সংসদীয় দলীয় বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) অরুণাচলের তাওয়াংয়ে চিনা আগ্রাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”সরকার এই বিষয়ে একগুঁয়ে আচরণ করছে। কোনও আলোচনাই করতে চাইছে না। আমজনতা ও সংসদের উভয় কক্ষ আসল পরিস্থিতিটা জানতেই পারছে না। কেন সরকার চিনা আগ্রাসন নিয়ে মুখ খুলছে না?”
[আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার কাটছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! আতঙ্কে কাঁটা মন্দিরের ভক্তরা, দেখুন ভিডিও]
এরপরই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। তাঁদের দাবি, সরকারকে তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে সেনার কোনও সমালোচনা তাঁরা করছেন না। তাঁদের অভিযোগ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এর আগে বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতারা ভারতীয় সেনাকে অপমান করছেন। সেই পরিস্থিতিতেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে কংগ্রেস।
তবে এদিন বিরোধীদের বিক্ষোভে শামিল হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বিদেশ নীতিতে কেন্দ্রের বিরোধিতা না করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এদিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে কংগ্রেসের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভে নেই তারা।
[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খুলতে এসেছি’, ভারত জোড়ো যাত্রায় বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের]
উল্লেখ্য, ৯ ডিসেম্বর সেনা সরানোর প্রক্রিয়া চলাকালীন ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় লালফৌজ।তাওয়াংয়ের (Tawang) এই ঘটনায় জখম হন অন্তত ২০-৩০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনার দাবি, ভারতের তুলনায় লালফৌজের বেশি সংখ্যক জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে দু’তরফের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উত্তেজনা প্রশমনে দুই বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও খবর।