সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে সংখ্যাধিক্যের বলে ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ করানো গেলেও বিচারবিভাগে হোঁচট খাবে মোদি সরকার। সুপ্রিম কোর্টে গেলেই আটকে যাবে বিতর্কিত ওই বিলটি। আশাবাদী বিরোধী শিবির। ইতিমধ্যেই বিলটিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি আশাবাদী, "সুপ্রিম কোর্ট বিলটিকে বাতিল করে দেবে।"
দু’দিনের দীর্ঘ বিতর্কের পর সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলেই এই বিল আইনে পরিণত হবে। বিজেপির দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে কোটি কোটি প্রান্তিক মুসলিম সমাজ উপকৃত হবেন। এতদিন ধরে গুটিকয়েক প্রভাবশালীর হাতে কুক্ষিগত ওয়াকফ সম্পত্তি মুক্ত হবে এবং সাধারণ মুসলিমরা উপকৃত হবেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই বিল পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এটা আসলে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ।
স্ট্যালিন বলছেন, গুটিকয়েক জোটসঙ্গীর সমর্থনকে হাতিয়ার করে সংবিধানের উপর আঘাত হানছে বিজেপি। এটা সংখ্যাগরিষ্ঠতার অপব্যবহার। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, "এই ভাবে বিলটি পাশ করিয়ে ভারতের সংবিধানের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে।” তাঁর যুক্তি সংসদে বহু সাংসদ বিলটির বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু সেই বিরোধিতাকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিল পাশ হওয়ার আগেই তামিলনাড়ু বিধানসভায় স্ট্যালিন জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল সুপ্রিম কোর্টে বিলটিকে চ্যালেঞ্জ করবে। কংগ্রেসের তরফেও দ্রুত বিলটিকে চ্যালেঞ্জ করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী শিবির আশাবাদী, সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ বিলকে চ্যালেঞ্জ করলে সেটি আটকে যেতে পারে। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলছেন, "এটা সংখ্যাধিক্যকে ব্যবহার করে চাপিয়ে দেওয়া বিল। এই বিলটি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে বাতিল হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।