বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: লক্ষ্য ২০২৪। দলের সভাপতি হওয়ার প্রায় বছরখানেক বাদে কংগ্রেসের (Congress) নতুন কর্মসমিতি গঠন করলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। মোট ৩৯ সদস্যের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে (CWC) জায়গা দেওয়া হল তথাকথিত বিদ্রোহী নেতাদেরও। এছাড়াও রয়েছেন ২১ জন আমন্ত্রিত সদস্য। আমন্ত্রিত সদস্যদের মধ্যে জাতীয় রাজনীতির বেশ কিছু পরিচিত মুখও রয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ৩৯ সদস্যের কমিটিতে এমন কিছু নেতার নাম রয়েছে যারা তথাকথিত বিদ্রোহী। যেমন রাজস্থানে অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) বিরোধী হিসাবে পরিচিত শচীন পাইলটকে জায়গা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে। মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে লড়া শশী থারুরকেও জায়গা দেওয়া হয়েছে কমিটিতে। জায়গা পেয়েছেন জি-২৩ গ্রুপের (G-23 group) সদস্য আনন্দ শর্মাও।
[আরও পড়ুন: ‘ক্যাম্পাসে মদ্যপান করা আমার অধিকার’, যাদবপুরের ছাত্রীর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়]
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে বিশেষ বদল না করা হলেও তরুণ মুখেদের মধ্যে জায়গা পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, গৌরব গগৈ, এবং কে প্যাটেল। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে ঠিক হয়েছিল ওয়ার্কিং কমিটির মোট ৫০ শতাংশ সদস্য ৫০ বছরের কম বয়সি হতে হবে। কিন্তু সেই শর্ত পূরণ হয়নি। বেশ কিছু তরুণ মুখ নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েও মাত্র ৩ জনের বয়স ৫০-এর কম। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), মনমোহন সিং, এ কে অ্যান্টনি, বিরাপ্পা মইলিরা।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডে নয়া মোড়, আচমকাই পদত্যাগ করলেন ডিন অফ সায়েন্স]
বাংলা থেকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন দু’জন। অধীর চৌধুরী এবং দীপা দাশমুন্সী। এই কর্মসমিতিই কংগ্রেসের নীতি নির্ধারক কমিটি। সেখানে জায়গা পাওয়াটা দীপা দাশমুন্সীর জন্য বড়সড় প্রমোশন। তবে অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) ওয়ার্কিং কমিটিতে আনার পর নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে আবদুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো সিনিয়র নেতাদের জায়গা দেওয়া হয়নি। তাহলে কি অধীরকে আর প্রদেশ সভাপতি পদে রাখা হবে না? উঠছে প্রশ্ন।